কলা খেয়ে গিনেস বুকে নাম লেখালেন দশম শ্রেণির ছাত্র

নাফিস ইসতে অন্তু
নাফিস ইসতে অন্তু  © সংগৃহীত

হাতের ব্যবহার ছাড়া কলা খেয়ে ও দ্রততম সময়ে ১০টি মাস্ক পরিধান করে ২টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস করলো নীলফামারীর সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র নাফিস ইসতে অন্তু। সে উপজেলার নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ইউনূছ আলীর বড় ছেলে।

প্রথমে স্টাপলারের পিন বের করে চেন তৈরি করে রেকর্ড গড়ার চেষ্টা ছিল অন্তুর। পরে দ্রুততম সময়ে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান ও হাতের স্পর্স ছাড়াই কলা খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ে অন্তু। অল্প বয়সে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ায় আনন্দিত অন্তুর পরিবারের সদস্য ও বিদ্যালয়ের সহপাঠীসহ শিক্ষকমণ্ডলী। মহামারী করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার ভুত চাপে অন্তুর ঘাড়ে। বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েনি কখনই।

আরও পড়ুন: বিধিনিষেধে স্কুল খোলা রাখায় জরিমানা

গত বছরের ১৩ এপ্রিল গিনেস ওয়ার্ল্ডে আবেদন করে অন্তু। ৪ মে গিনেস কর্তৃপক্ষ অন্তুর আবেদন গ্রহণ করে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক দ্রুততম পরিধানের অনুমতি দেয়। অবশেষে ১৪ জুলাই দীর্ঘদিনের পরিশ্রম সফল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পিলের ৭.৩৫ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে ৭.১৬ সেকেন্ডে ১০টি মাস্ক পরে গিনেস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়ে অন্তু।

৬ নভেম্বর রাতে গিনেস ওয়ার্ল্ডের বার্তা এসেছে অন্তুর সফলতার। একই তারিখে হাতের ব্যবহার ছাড়াই একটি কলা মুখ দিয়ে ছোলে আবার খেয়ে কানাডার মাইক জ্যাকের ৩৭.৭ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙেছে ৩০.৭ সেকেন্ডে। আর ১৯ ডিস্বেবর হাতে পেয়েছে গিনেস ওয়াল্ডের দুটি সনদপত্র।

গিনেস বুক রেকর্ডধারী অন্তু বলে, করোনাকালীন পড়ালেখার পাশাপাশি টেলিভিশনে দেখে ইচ্ছে জাগে গিনেস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়ার। তারপর সে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে দুটি রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছি। আর একটি রেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি চলছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার শেষ ইচ্ছেটা পূরণ করতে পারি।

আরও পড়ুন: ছাত্রাবস্থায় আমরাও ভিসির বাসভবনের সামনে ধর্মঘট করেছি: তথ্যমন্ত্রী

অন্তুর মা নাসমুন নাহার বলেন, আমার ছেলে ছোট থেকেই বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পোশাক কেনার তার কোনো চাহিদা নাই। আমরা যা কিনে দেই সে তাতেই খুশি থাকে। একটু সময় পেলেই যন্ত্রপাতি নিয়ে বসে। প্রতিনিয়তই তার নতুন কিছু আবিস্কারের চিন্তা। তবে সে যে বিশ্ব রেকর্ড করেছে এতে আমরা গর্বিত।

ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল সরকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিজের প্রচেষ্টায় দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র গিনেজ ওয়ার্ল্ডে দুটি রেকর্ড গড়েছে। আমরা শিক্ষকরা তাকে অনেক হেল্প করেছি। ২০২১ সালে শুধু অন্তু নয়, আমাদের প্রতিষ্ঠানের আরও দুজন বিভিন্ন পর্যায়ে সেরাদের খাতায় নাম লিখিয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ