উত্তরা ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন

‘জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়ে মহামারীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলার হঠকারিতা করিনি’

উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন
উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন  © টিডিসি ফটো

আমরা এখনও মহামারী অতিক্রম করছি। জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়ে মহামারীর চূড়ায় আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার মত হঠকারিতা করিনি। চেষ্টা করেছি দ্রুততম সময়ে আপামর জনসাধারণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্যে টিকার ব্যবস্থা করে আবার দেশ তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাণ সঞ্চার করার। আবার, অনলাইন ক্লাসের মতো বিকল্প ব্যবস্থাপনায় আমরা একটি মুহূর্তের জন্যেও শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্থবির হতে দেইনি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

আজ রবিবার (৪ জুলাই)সকালে বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন,  দেশের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রসার ও বাস্তবায়নে গ্রাজুয়েটদের মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। বিদ্যায়তনিক যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবস্থার আধুনিকায়নে গ্রাজুয়েটদের অংশগ্রহণ যেমন উত্তরা ইউনিভার্সিটি সুনাম বৃদ্ধি করছে। তেমনি ভবিষ্যতের ব্যাপারে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ভূমিকায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

আরও পড়ুন: বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে ‍কুবি

তিনি আরও বলেন, উত্তরা ইউনিভার্সিটি বিগত ১৯ বছরে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, এটি শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানবিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। এতে আরও বক্তব্য দেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলী।

সমাবর্তন বক্তার ভাষনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, সমাবর্তন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। কারণ এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একজন শিক্ষার্থীর জীবনে এ ধরনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবন ও আত্মবিশ্বাস অর্জনে অত্যন্ত তাৎপর্যময়। কর্মজীবনে প্রবেশ ও এতে সফল হওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা, দক্ষতা ও আগ্রহ সৃষ্টিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে আমার বিশ্বাস। 

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য, বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ এবং সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যগণ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা সহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ