ববিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক দুই শিক্ষার্থী

ববিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক দুই শিক্ষার্থী
ববিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক দুই শিক্ষার্থী   © টিডিসি ফটো

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন ইংরেজি বিভাগের দুই সাবেক শিক্ষার্থী। তারা হলেন ইংরেজি বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহিমা ইয়াসমিন এবং দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রজ্ঞা পারমিতা বোস। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তারাই সর্বপ্রথম নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে  নিয়োগ পেলেন।

মঙ্গলবার ৫ জুলাই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে যোগদান করেছেন। 

ফাহিমা ইয়াসমিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এর আগে তিনি বরিশাল ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা করতেন। তাঁর বাড়ি বরিশাল শহরের রূপাতলি এলাকায়। 

প্রজ্ঞা পারমিতা বোস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে  স্নাতক এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকত্তোর সম্পন্ন করেন ইংরেজী বিভাগ থেকে৷ প্রজ্ঞা পারমিতা বোস এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং পূর্ববর্তী কর্মসংস্থান ছিলো বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি। 

আরও পড়ুন: শিক্ষকের ৪ সন্তানই বুয়েটের শিক্ষার্থী, মেয়ে চিকিৎসক

এ বিষয়ে সদ্য প্রভাষক ফাহিমা ইয়াসমিন  বলেন, শুকরিয়া, বিষয়টি অতি আনন্দের। নিজের ক্যাম্পাসে নিজের ডিপার্টমেন্টে কর্মজীবন শুরু করবো এটা আমার স্বপ্ন ছিল। এ সাফল্যের পিছনে বিশেষ কৃতজ্ঞতা আমার বাবা, মা ও শিক্ষকদের প্রতি। তাদের সঠিক দিক নির্দেশনায় আমি আজ এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। ভবিষ্যতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে ভালো করতে পারে সে দিকে আমি বিশেষ খেয়াল রাখবো।

শিক্ষক হিসেবে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নিয়োগ দেয়ায় উচ্ছ্বাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক -শিক্ষার্থী। তারা মনে করছেন নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নিয়োগ দেয়ায় একটি অধ্যায়ের সূচনা হলো। ইংরেজী বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদ আকন্দ বলেন  বরিশাল বিদ্যালয়ের প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ইংরেজী বিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের প্রভাষক পদে সুযোগ দিলে তারা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।


সর্বশেষ সংবাদ