ইবির ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজে স্থবিরতা

থমকে গেছে ইবির মেগা উন্নয়ন
থমকে গেছে ইবির মেগা উন্নয়ন  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেগাপ্রকল্পের আওতায় ৯টি দশতলা ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এ নির্মাণকাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দিয়েছিল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদাররা।

বাজেটের তিন বছর পেরুলেও মাত্র ১১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিস। ফলে বাকি সময়ে কাজ শেষ করা অসম্ভব হওয়ায় বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প অনুমোদন পায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ওই বছরের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।

ভবনগুলো নির্মাণে মোট ৪০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের ৮৩ শতাংশ সময় পরে মাত্র ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিস। ফলে বাকি নয় মাসে অবশিষ্ট ৮৯ শতাংশ কাজ শেষ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হলে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও চলমান কাজগুলো শেষ করতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে অধিকাংশ ভবনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ঠিকাদাররা।

মেগা প্রকল্পের অধীনে ক্যাম্পাসে নির্মাণ ভবনের মধ্যে পাঁচটি শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, দুটি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার এবং একটি করে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন রয়েছে।

আরও পড়ুন: ল্যাবরেটরি স্কুল-কলেজের নাম হবে শেখ রাসেলের নামে

কাজ পাওয়া ঠিকাদারদের দাবি, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে নির্ধারিত বাজেটে তারা কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন না। এজন্য কাজ বন্ধ রেখেছেন। তারা নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য হ্রাসের জন্য সরকারি দফতরে কথা বলছেন। মূল্য না কমলে নতুন করে ভর্তুকির দাবি তাদের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সি শহীদ উদ্দিন মো. তারেক বলেন, কাজ চালু রাখতে বারবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার জন্য বলা হলেও তারা কাজ করছে না। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন। আমরা তাদেরকে কাজ শুরু করতে বলেছি। এরপরও কাজ শুরু না করলে কাজ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence