১৭ মে খুলছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়  © লোগো

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর কয়েক দফা ছুটি বাড়ানোর পর আগামী ২৪ মে থেকে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা রয়েছে। তার আগে ১৭ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার কথা। গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে কি না, তা ঠিক করতে আজ বুধবার (৫ মে) অনলাইন মিটিং জুমে এক বৈঠকে বসেন উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। এছাড়া বৈঠকে ২০২০-২১ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ পেছানো হবে কিনা, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

বৈঠকে করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী ১৭ মে আবাসিক হল খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঈদের পর নেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, যেহেতু শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেওয়া হয়নি তাই আগামী ১৭ মে আবাসিক হল খোলা হচ্ছে না। তাছাড়া সবকিছু বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখও পেছানো হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে আজকের সভার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ঈদের পরে আবার আমরা বসবো। সেখানে বিষয়টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, লকডাউন যেহেতু আরেক দফায় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে তাই তড়িঘড়ি করে আমরা সিদ্ধান্তটি নিতে চাচ্ছি না। ঈদের পরে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্তটি নেবো।

জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা তা নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জৃরী কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে একটি বৈঠক রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ