পরীক্ষায় নকলের দায়ে সাত কলেজের ৫ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২১, ০৪:১৫ PM , আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১, ০৪:১৫ PM
একাডেমিক পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের ৫ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আরও ৭ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সিন্ডিকেটের এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একাডেমিক পরীক্ষায় নকল ও নকলের সহায়তার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অধিভুক্ত সাত কলেজের ৫ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তাছাড়া ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় আরও সাত শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়, ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১২ জন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৫১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসেকে বলেন, ভর্তি জালিয়াতি ও একাডেমিক পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১২ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। এদের মধ্যে ৫ জন সাত কলেজের শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া আরও ১৫১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
১৫১ জনের সাজা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, একাডেমিক পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে এসব শিক্ষার্থীদের কারও এক বছর আবার কারও দুই বছর সাজা হয়েছে। সাজার মেয়াদ শেষ হলে তারা আবার একাডেমিক পড়াশোনা শুরু করতে পারবে।