হল খোলার দাবি, আজও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:৩৯ PM , আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:৩৯ PM
হল খোলার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। হল না খোলা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারিও দেয় তারা। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে এসে অবস্থান নেয় তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘প্রশাসনের প্রহসন মানিনা মানবোনা’, ‘হল কেন বন্ধ প্রশাসন জবাব চাই’, ‘শিক্ষকরা ভিতরে, আমরা কেন বাহিরে?’ সহ নানা শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দেশের কোথাও করোনার ভয় নেই। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনার ভয়। আমাদের অনার্স-মাস্টার্সের পরীক্ষা চলমান। মেসে-বাসাবাড়িতে গাদাগাদি হয়ে অবস্থান করে পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে’।
তারা বলেন, অনেকেই টিউশনি হারিয়ে উচ্চ মূল্যে মেস-বাসাবাড়িতে থাকছেন। যেটা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনকে পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে হল খুলে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখুন। তা নাহলে কঠোর লাগাতার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো’।
এর আগে গত রবিবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে আলোচনা করেন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা। আলোচনা শেষে তারা জানান, হল না খুললে আগামীকাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই মিছিল শেষে প্রতিটি হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, ল্যাব, শ্রেণিকক্ষগুলো যখন দেখি ফাঁকা পড়ে থাকে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় অবস্থান করে, বিষয়গুলো আমাকে ভীষণ পীড়া দেয়। যদি অবস্থান থাকতো তাহলে আমিও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতাম। আমি তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একমত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাইলেই হল খোলার ঘোষণা দিতে পারছি না। এ সিদ্ধান্তটা আমাদের হাতে নেই। এ সপ্তাহ শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমাদের মিটিং আছে। সেখানে তোমাদের এ যৌক্তিক দাবিগুলো সরকারকে জানাবো। যাতে করে সরকার খুব তাড়াতাড়ি আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি দেন। তবে আশা করছি অচিরেই আমরা কোনও নির্দেশনা পাবো।’
এর আগে গতকাল রবিবার একই দাবিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।