গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কমিশন
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:১৪ AM , আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:১৪ AM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। তবে কমিশন গঠনে সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করার অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৭ (২)-এর বাইরে গিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
এর আগে গত রবিবার সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনকে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্সি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. কে এম আব্দুস সোবহানকে রিটার্নিং অফিসার করা হয়েছে। অন্য দুই স্ক্রুটিনিয়ার হলেন একই বিভাগের সহযোগী প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক ও ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী প্রফেসর বখতিয়ার হাসান।
জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদের ২(ক) দফায় নির্বাচনের মেয়াদকাল সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। এতে প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে খোলার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে গঠনতন্ত্রে উল্লেখ রয়েছে।
করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গত ৬ ডিসেম্বর সমিতির এক সভায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেয় সমিতি। পরে গত ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনের জন্য সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত না আসায় সভা স্থগিত করা হয়। তবে এ নিয়মের তোয়াক্কা না করে আজ রবিবার সভাতেই তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে হঠাৎ নির্বাচন করতে চাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমিতির একাংশ। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় যেহেতু ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়নি তাই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে নির্বাচন হতে পারে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়নি। তবে এখন বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয়েছে, একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সভা হচ্ছে এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের যাতায়াত শুরু হয়েছে তাই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে।’