ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরে পাঠ্যবইয়ের বাস্তবতায় মুগ্ধ শিক্ষার্থীরা

  © টিডিসি ফটো

প্রথম বারের মতো লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর বা শিল্প-কারখানা পরিদর্শন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সফরে গিয়ে শিল্প-কারখানায় পাঠ্য বইয়ের বাস্তবতা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোতে এ ধরণের সফরের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দাবি করেছেন।

আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের বিসিক শিল্প নগরীতে একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে পণ্য উৎপাদন, যন্ত্রপাতির ব্যবহার, শিল্প-কারখানার পরিবেশ ও কর্মজীবী নারী-পুরুষ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ করেন। এতে লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক হাবীব জোয়ার্দারের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানটির একাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার প্রায় ৭০ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।

বিসিক শিল্পনগরী লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার খানের সহযোগিতায় নেক্সট ফুট অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও পি. টি. কনজ্যুমার প্রোডাক্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে দু’টি শিল্প-কারখানা পরিদর্শন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় শিল্প-কারখানা দু’টির কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং এ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, পাঠ্যবইয়ে পড়ে শিক্ষা জীবনেই সে বিষয়গুলো বাস্তবে দেখা আমাদের জন্য এক অন্যরকম অন্যরকম অনুভূতি। আমরা এ ধরণের ভ্রমণে আসতে পেরে মুগ্ধ। এতে আমাদের জ্ঞানের পরিধি বেড়েছে। এ অভিজ্ঞতা কর্মজীবনে সহায়ক হবে। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলোতে এরকম ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর’ নিয়মিত চালু রাখার দাবি করছি।

লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক হাবীব জোয়ার্দার বলেন, এটা লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রথম ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর’। বাস্তবমুখী শিক্ষার জন্য এ ধরনের ট্যুর অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ ধরণের ভ্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করবো।

বিসিক এলাকায় সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: রাকিব আপ্র

বিসিক শিল্পনগরী লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার খান বলেন, বিসিক শিল্পনগরী ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরের জন্য উপযুক্ত একটি স্থান। এখানে বর্তমানে ৩১টি শিল্প-কারখানা রয়েছে। এতে প্রায় ৯ শতাধিক নারী-পুরুষ কাজ করছেন। প্রায় ১৭ একরের এ শিল্পনগরীতে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার জন্য প্রায় ১০০টি প্লট বরাদ্দ রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ