বাঙলা কলেজে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- জাফর ইকবাল, প্রদায়ক
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০১৯, ০৮:০৫ PM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০১৯, ০৮:০৫ PM
যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছে সরকারি বাঙলা কলেজ। এছাড়াও পুরো মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে শোকাবহ আগস্টকে স্মরণ করেছে কলেজটি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১ টায় কলেজের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় ১১৮নং কক্ষে জাতির পিতার ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফেরদৌসি খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সহিদুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আবু বকর মিয়া। আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কলেজের প্রফেসর ড. আফরোজা বেগম।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ বলেন, সবাই বলে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমি তোমাদেরকে বলতে চাই, ১৫ আগস্টে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল তা ছিল পূর্বপরিকল্পিত একটি সেনা অভ্যুত্থান।
তিনি বলেন, ঘাতকদের মূল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর পুরো বংশকে ধ্বংস করে দেওয়া। কারণ ওরা জানত এ পরিবারের কেউ যদি বেচে থাকে তাহলে বাংলাদেশ উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যাবে।
‘একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু বেচে থাকলে ১৯৯০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে যেত। আর বর্তমানে আমরা একটি উন্নত বাংলাদেশে বসবাস করতাম’ তিনি যোগ করেন।
কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সহিদুল ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। আর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বাংলাদেশে পদার্পণ করেন। তখন থেকেই পরাজিত শক্তির ঘা জালা শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হয় এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই পরাজিত শৃক্তি এখনো ওৎ পেতে আছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হলে এরা বিব্রতবোধ করে। এদের বিষয়ে আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ মাসব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়।