মোদীর বক্তব্যের প্রতিবাদে জবিতে ফুটপাতে ভারতের পতাকা অঙ্কন
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৮ PM , আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৩ PM
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টের প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ভারতের পতাকা অঙ্কন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বাংলাদেশের বিজয়কে ভারতের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে খাটো করার শামিল। এই বক্তব্যের বিরুদ্ধেই প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ভারতের পতাকা অঙ্কন করা হয়েছে বলে তারা জানান।
এর আগে বিজয় দিবসের রাতেই জবির প্রধান ফটকের সামনে পাকিস্তানের পতাকা অঙ্কনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রাত আনুমানিক ১টার দিকে শাখা ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকারের কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীবাহী বাস চলাচলে বাধা দেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল বডি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা, হাতাহাতি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে রাতভর বিক্ষোভ চালান এবং উপাচার্যের গাড়িও অবরোধ করেন। ভোর পাঁচটার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
এ ঘটনায় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রদল সবার আগে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় এবং ক্যাম্পাসে কোনো স্বৈরাচার বা মব তন্ত্রের বিকাশ হতে দেবে না।
অন্যদিকে আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, অনুমতি না থাকার অজুহাতে প্রথমে প্রক্টরিয়াল বডি বাধা দেয়, পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী হামলা চালায়। তার দাবি, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদেই এই সংঘাতের সূত্রপাত।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পূর্বানুমতি প্রয়োজন। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই পতাকা অঙ্কন ও বাস চলাচলে বাধা দেওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।