ঢাকায় পঞ্চম বারের মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন সম্মেলন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১১ PM , আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১২ PM
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে পঞ্চম বারের মতো ‘কিরণ প্রেজেন্টস এনইউএসডিএফ দক্ষতা উন্নয়ন সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনইউএসডিএফ বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন অ্যাসোসিয়েশন উইথ এক্সিলেন্স বাংলাদেশের আয়োজনে, শক্তি প্লাস, এমএসআর ক্লিয়ারেন্স মার্টের স্পন্সরে এবং ইউনাইটেড কলেজ অফ এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-অফিসিয়ালের কো-স্পন্সরে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়ে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এস.এম আমানুল্লাহ, আয়োজনে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন আমরা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের এবং একিউএর (AQA) সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এই দুটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আইএলটিএস এর সমমান সার্টিফিকেট পাবেন এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ব্রিটেনের সাল্টফোর্ড ইউনিভার্সিটির (Salford University) সাথেও একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি যেটির দ্বারা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আধুনিক কারিকুলাম সিলেবাস, পরীক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ গবেষণা, আন্তর্জাতিক মানের ডেটা সেন্টার, মেশিন লার্নিং, ডীপ লার্নিং এবং এআই অ্যাপ্লিকেশনসহ ত্রিশটি বিষয়ে Sponsored apprenticeship program এবং পাবলিক হেলথ বিষয়ে বিভিন্ন Intervention করবো। এছাড়াও অনুষ্ঠানে তিনি She Skills শিরোনামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্কীল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ঘোষণা করেন এবং ৫০ হাজার নারী শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসিফ ইকবাল যিনি বাংলাদেশের অন্যতম মিউজিক কোম্পানি- গাঙচিল মিউজিক এর প্রতিষ্ঠা এবং একইসঙ্গে এ্যাসিক্স কোম্পানীরও প্রতিষ্ঠাতা। আরো ছিলেন দীপেশ নাগ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর গ্রামীণ ড্যানোন ফুডস লিমিটেড। এই দক্ষতা উন্নয়ন সামিটে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শুভাশীষ ভৌমিক, জনপ্রিয় স্যোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এটেক গ্লোবাল, তাজদিন হাসান, চিফ বিজনেস অফিসার দ্যা ডেইলি স্টার এবং কামরুল ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার - পাবলিক রিলেশনস ইউএস-বাংলা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, গোলাম সামদানী ডন, প্রধান অনুপ্রেরণামূলক কর্মকর্তা ডন সামদানী ফ্যাসিলিটেশন এবং কনসালটেন্সি, সুরাইয়া সিদ্দিকা, পরিচালক বিক্রয় ও বিপণন গ্রামীণ ড্যানোন ফুডস লিমিটেড, ফারহানা এ. প্রীতি সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সাজগোজ লিমিটেড, কাজী মো. মহিউদ্দিন গ্রুপ ব্র্যান্ড মার্কেটিং প্রধান মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আবু সায়েম মোঃ জান্নাতুন নূর, পরিচালক গণ উন্নয়ন কেন্দ্র, সাইদুল আজহার সারওয়ার, হেড অব বিজনেস- পারটেক্স স্টার গ্রুপ, বেনজির আবরার, প্রতিষ্ঠাতা এক্সিলেন্স বাংলাদেশ, মোহাম্মদ আলী, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ইউনাইটেড কলেজ অফ এভিয়েশন, মোঃ তানভীর আঞ্জুম, ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পরিচালক এবং ব্যবসায়িক সমন্বয়কারী, এমডি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, ডঃ কে এম হাসান রিপন, নির্বাহী পরিচালক, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বাস্তুতন্ত্র, ডঃ শরীফুল ইসলাম, জেনারেল সেক্রেটারি মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং এন,ইউ,এস,ডি,এফ বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি রিয়াজ হোসাইন সহ সংগঠনের দায়িত্বশীলরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকরা বলেন, আগামীর বাংলাদেশের কর্পোরেট সেক্টরে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। আলোচকরা শিক্ষার্থীদের ইফেক্টিভ কমিউনিকেশন দক্ষতা , টাইম ম্যানেজমেন্ট, কর্পোরেট ইথিকস, টিম ওয়ার্ক, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স, বেসিক আইটি দক্ষতা উন্নয়নের উপর অধিক জোর দেওয়া উপদেশ দেন। তাঁরা জানান, এই ধরনের দক্ষতা অর্জন ছাড়া কর্পোরেট সেক্টরে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ নেই।
এই আয়োজনে স্পন্সর এবং পার্টনার হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমাদের সাথে টাইটেল পার্টনার হিসেবে ছিলেন ‘কিরন ‘ যেটি শিক্ষার্থীদের এজুকেশন এবং লার্নিং নিয়ে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। পাওয়ার্ড বাই পার্টনার হিসেবে ছিলেন ‘শক্তি প্লাস‘ , ‘এমএসআর ক্লিয়ারেন্স মার্ট‘ এবং কো-স্পন্সরড হিসেবে ছিলেন ‘ইউনাইটেড কলেজ অফ এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট - অফিসিয়াল‘। অনুষ্ঠানে গোল্ড পার্টনার হিসেবে ছিলেন ‘এ্যাসিক্স‘ এবং ‘প্রিমিয়াম হোমস লিমিটেড‘ , স্কীল পার্টনার, ‘আমিও উদ্যোক্তা‘, লার্নিং পার্টনার, ‘এক্সিলেন্স একাডেমি‘, ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ‘গণ উন্নয়ন কেন্দ্র ‘, টেক পার্টনার ,‘ভার্টিকাসফট‘, ফটোগ্রাফী পার্টনার ‘ইনসেনেক থিয়েটার‘ এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পার্টনার ‘মৌচাক ইভেন্টস‘।
আমাদের সাথে ক্রিয়েটিভ পার্টনার, ‘মিনিমেট স্টুডিও‘, ক্যাম্পাস এনগেইজমেন্ট পার্টনার, ‘এইচভি এবিয়েশন‘ ল্যাঙ্গুয়েজ পার্টনার, ‘ডিআইসি‘ ড্রিঙ্ক পার্টনার, ‘আমাদের সুঁইসুতা ‘, মিডিয়া পার্টনার ‘ঢাকা পোস্ট ‘, ‘ডেইলি ক্যাম্পাস‘, গিফট পার্টনার, ‘সাজগোজ ‘, এয়ার লাইন পার্টনার, ‘ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স‘, লোগো পার্টনার, ‘উলভাইব‘, ‘ট্রেফয়েল‘। এছাড়াও ক্লাব পার্টনার হিসেবে ছিলেন, ‘ ডিআইআইটি ব্যবসা ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন ক্লাব‘, ‘জৈব রসায়ন এবং আণবিক জীববিজ্ঞান ক্লাব ‘, ‘ এসবিপিজিসি ক্যারিয়ার ক্লাব‘, ‘ অ্যাকাউন্টিং ক্লাব‘, ‘বিজনেস ক্লাব‘, ‘ তাদের পাশে আমরা‘, ‘ফ্রয়েড ক্লাব অফ সাইকোলজি‘ এবং ‘ এসবিপিজিসি আর্ট ক্লাব‘ ।
এন,ইউ,এস,ডি,এফ বাংলাদেশ ২০২০ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সংগঠনটি সারা বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে দক্ষতা উন্নয়নের নতুন জাগরণ সৃষ্টি করেছে। এই নিয়ে ঢাকায় টানা পঞ্চম বারের মতো দক্ষতা উন্নয়ন সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে দেশের বিভিন্ন কলেজের ৫৫০ এর অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। শিক্ষার্থীরা সেখানে ক্যারিয়ার বিষয়ক বিভিন্ন সেশন, কর্পোরেটদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা সহ তাদের অভিজ্ঞতা শুনেছেন। এছাড়া এন ইউ এস ডি এফ বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে আরো বেশি আগ্রহী করতে ল্যাপটপ প্রদান সহ বিভিন্ন গিফট সামগ্ৰী উপহার দিয়েছেন।
এন,ইউ,এস,ডি,এফ বাংলাদেশ প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট সামিট, জব ফেয়ার, আইটি ক্যারিয়ার সামিট, পাবলিক স্পিকিং মাস্টারমাইন্ড, কেস স্টাডি কম্পিটিশন, টিম বিল্ডিং ডে, ক্যারিয়ার ডে, কম্পানি ভিজিটিং এর মতো অফলাইন - অনলাইন সেশন সহ আরও অনেক ফ্রী লার্নিং সেশন আয়োজন করে যাচ্ছে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি রিয়াজ হোসাইন জানান, আমরা সফলতার সহিত দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে আসছি এবং আগামীতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন নিশ্চিত করণে যা- যা প্রয়োজন আমরা তার সর্বোচ্চ করে যাবো। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন উপস্থিতি তাকে আরো বেশি কাজ করার আগ্রহ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন আমরা চাই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেনো কোনোভাবেই আর পিছিয়ে না থাকে। তাই আমাদের প্রদান লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস টু কর্পোরেট যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় সকল দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়া এবং সেটা প্রতিটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দেওয়া।