জবি ‘মেধাবী’ প্রকল্প নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক, ব্যাখ্যা দিল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৯ PM , আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৪ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) পরিচালিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ‘মেধাবী’ প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বা আবাসিক হল হিসেবে বিবেচনা না করার অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে নিজেদের অরাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির আহমদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন একটি সম্পূর্ণ দাতব্য ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ফাউন্ডেশন ও ‘মেধাবী’ প্রকল্পের নাম জড়িয়ে মন্তব্য করা হচ্ছে, যা তাদের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এতে ফাউন্ডেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে আরও স্পষ্ট করে বলা হয়, ‘মেধাবী’ প্রকল্পটি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের একটি স্বতন্ত্র উদ্যোগ। তাই এটিকে প্রশাসনিকভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হল বা আবাসিক হল হিসেবে বিবেচনা না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে ‘মেধাবী’ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। এর আওতায় ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে এই প্রকল্পে ৬৪৫ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন।
চিঠিতে প্রকল্পের ব্যয়ের তথ্যও তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, ‘মেধাবী’ প্রকল্প প্রতিষ্ঠায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। চলমান কার্যক্রম পরিচালনার মোট ব্যয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ ফাউন্ডেশন নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করছে এবং বাকি ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রদান করছে।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), আইসিটি ও নেতৃত্ব উন্নয়নসহ বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের কল্যাণে এই প্রকল্প পরিচালনায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আগ্রহী। প্রয়োজনে ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হলে, সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণেও ফাউন্ডেশন প্রস্তুত, যাতে তারা তাদের নীতি ও আদর্শ অক্ষুণ্ন রেখে প্রকল্পটি পরিচালনা করতে পারে।