রাবি শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি নোমানী হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ 

রাবি শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
রাবি শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের এ সমাবেশ হয়। এর আগে জোহর নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিনোদনপুর বাজারে এসে শেষ হয়।

এসময় তারা ‘ইসলামী ছাত্রশিবির, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, বিচার বিচার বিচার চাই, নোমানী হত্যার বিচার চাই, শিবিরের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, নোমানী হত্যাকারীর ফাঁসি চাই, সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এ ক্যাম্পাসে হবে না, আজকের এই দিনে, নোমানী তোমায় মনে পরে’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

রাবি শিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ‘২০০৯ সালের ১৩ মার্চ নোমানী ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদের অন্যতম ছিলেন তৎকালীন ভিসি আব্দুস সোবহান, প্রক্টর চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং ছাত্র উপদেষ্টা (সাবেক ভিসি) গোলাম সাব্বির সাত্তার। নোমানী ভাইয়ের হত্যার পুরস্কার স্বরূপ তাদের পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা দেখেছি নোমানী হত্যা মামলা আদালত খারিজ করে দিয়েছিল। প্রশাসন যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা রিনিউ না করে  তাহলে আমরা আইন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নামব।’

সমাবেশে রাবি শাখা ছাত্রশিবির সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল ও ভারতের তাঁবেদারি করার জন্য লিয়াজু করে ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে। এই দেশে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য তারা প্রথমে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করে। দেশের মেধাবী ছাত্রনেতাদের হত্যা করেছে, দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে, শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। স্বৈরাচার সরকার পতন হওয়ার ৭ মাসে পার হলেও এখনো কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না।’

সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নকশা তৈরি করে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবির সেক্রেটারি নোমানী ভাইকে হত্যা করে। নোমানী ভাইকে হত্যা করার পর আমরা দমে যাইনি বরং আমরা দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে এ ময়দানে ফিরে এসেছি। যে ছাত্রলীগ আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল আজকে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইসলামের প্রতি ভালোবাসাকে কেউ কখনো দমাতে পারবে না এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘নোমানী ভাইকে হত্যার করার পর আমরা জানিয়ে দিয়েছি 'উহারা চাহুক দাসের জীবন, আমরা শহীদি দরজা চাই; নিত্য মৃত্যু-ভীত ওরা, মোরা মৃত্যু কোথায় খুঁজে বেড়াই।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence