রাজশাহী কলেজে ফ্রি কোরআন শিক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া

কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমে  অংশগ্রহণকারীরা
কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীরা  © টিডিসি

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রাজশাহী কলেজে প্রথমবারের মতো আয়োজিত মাসব্যাপী ফ্রি কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এত বড় পরিসরে এর আগে কখনো কোরআন শিক্ষার আয়োজন হয়নি, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য এক ব্যতিক্রমী সুযোগ তৈরি করেছে।

রবিবার রাজশাহী কলেজের এইচ এ এম কামরুজ্জামান ভবনের ১০১ নম্বর কক্ষে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের প্রথম দিনেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ দেখা গেছে। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বেলা দেড়টা ১টা পর্যন্ত এই ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।

এই মহতি উদ্যোগটি নিয়েছে ইসলামিক কালচারাল ফোরাম (আইসিএফ), যেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কারি মুহাম্মদ মনোয়ার হুসাইন। তার নেতৃত্বে প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কোরআন শুদ্ধভাবে পড়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বিশেষ করে যারা আগে কোরআন পড়তে পারতেন না বা ভুলে গিয়েছিলেন, তারা নতুন উদ্দীপনায় কোরআন শেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত

রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ বলেন, ‘এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। রমজান মাসে শিক্ষার্থীরা যখন ক্যাম্পাস ছুটি থাকায় হলে অবস্থান করছে, তখন এই সুযোগটি তাদের কোরআন শুদ্ধভাবে শেখার ক্ষেত্রে দারুণ সহায়ক হবে। আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

ইসলামিক কালচারাল ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, ‘রাজশাহী কলেজের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে এতো বড় পরিসরে কোরআন শিক্ষার আয়োজন আগে কখনো হয়নি। এটি মুসলিম উম্মাহ ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গর্বের বিষয়। আমরা চাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের পাশে থাকুক এবং কোরআন শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক গুণাবলি অর্জন করুক।’

আরও পড়ুন: আইইউবিএটিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ 

শিক্ষার্থীদের বিপুল সাড়ায় আয়োজকরা আশাবাদী, ভবিষ্যতে এ কার্যক্রমকে আরও বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। রাজশাহী কলেজে প্রথমবারের মতো নেওয়া এই উদ্যোগ ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের নতুন করে আগ্রহী করে তুলেছে।

এ ধরনের উদ্যোগ নিয়মিত আয়োজন করা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ আরও বিকশিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


সর্বশেষ সংবাদ