বিজ্ঞানকে জনসাধারণের হাতে তুলে দিতে চাই: ড. আবেদ চৌধুরী
- জবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২১ PM , আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২১ PM

বিশিষ্ট জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী বলেছেন, এক আমলে কলোনিয়ালরা বিজ্ঞানকে জনসাধারণ থেকে পৃথক করে বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দিয়েছে। আমরা এখন বিজ্ঞানকে জনসাধারণের হাতে তুলে দিতে চাই। আমরা ডেমোক্রেটাইজেশন অব ইনোভেশনে পঞ্চব্রীহি ধান উদ্ভাবন করেছি।
আজ মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অডিটোরিয়ামে গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি) আয়োজিত ফুড সিকিউরিটি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
ড. আবেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ভালো কিছু উদ্ভাবন করলে এদেশে কেউ মূল্যায়ন করে না। আমি নিজেই এর বড় উদাহরণ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো আমার আইডিয়াগুলো নিয়ে বারবার মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পরও কোন ধরনের সহযোগিতা পাইনি, এটা খুবই দুঃখজনক। আপনারা দেখে থাকবেন আমার পেটেন্টগুলো দেশের বাহিরে থেকে নিবন্ধনকৃত। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আমাদের কোন সাহায্য করেনি। অথচ এই গবেষণাটি করার জন্য আমার দেশের গ্রামীণ এলাকা বেছে নিয়েছি। আমাদের দেশে কেউ ভালো কিছু করলে কেউ মূল্যায়ন করে না, কিন্তু অক্সফোর্ড, হার্ভার্ডের পণ্ডিতেরা বললে খুব মূল্যায়ন করে।
আরো পড়ুন: জবির প্রকাশনা থেকে এক শিক্ষাবর্ষে নতুন বই বেরিয়েছে একটি
তিনি বলেন, আমি অস্ট্রেলিয়াতে থাকতে আগের দিন কল দিলে পরের দিন এমপি মন্ত্রীরা দেখা করার সুযোগ দেয়। অথচ আমাদের মন্ত্রণালয়ে দেখা করতে হয় সচিবদের সাথে। আমার কথা শুনে তাদের ঘুম আসে এবং শেষে চা বিস্কিট খাইয়ে বিদায় করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এক আমলে কলোনিয়ালরা বিজ্ঞানকে জনসাধারণ থেকে পৃথক করে বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দিয়েছে। আমরা এখন বিজ্ঞানকে জনসাধারণের হাতে তুলে দিতে চাই। আমরা ডেমোক্রেটাইজেশন অব ইনোভেশনে পঞ্চব্রীহি ধান উদ্ভাবন করেছি। এখন অন্যান্য ফসল যেমন জোয়ান, তিসি, বেগুন, ঢেড়স ইত্যাদি উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছি। গবেষণা অব্যাহত রয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ড. আবেদ চৌধুরীর এই উদ্ভাবনকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পঞ্চব্রীহি ধান দেশের খাদ্যশস্যের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের দিকে আরও এগিয়ে যাবে।’
গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ সেন্টারের (জিএসএসআরসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. মো. আনিসুর রহমান সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।