তিতুমীর প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, প্রস্তুত জলকামান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৬ PM , আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৬ PM

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি আদায়ে রাজধানী মহাখালীর আমতলীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরো এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামানও।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিছিল নিয়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালী অবরোধ করেন। এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. তারেক মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা মহাখালীর আমতলীতে অবস্থান করছি। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েক শ শিক্ষার্থী আমতলী মোড়ে অবস্থা নিয়ে ‘শিক্ষা উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত, মানি না মানি না’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘তিতুমীর আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘টিসি না টিইউ, টিইউ টিইউ’, ‘আমার ভাই অনশনে, প্রশাসন কী করে’, ‘প্রশাসনের সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না চলবে না’, ‘অধ্যক্ষের সিন্ডিকেট, মানি না মানব না’, ‘আমাদের সংগ্রাম, চলছে চলবে’সহ নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
এর আগে, একনেক মিটিং শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ৭ কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি কমিটি কাজ করছে। তবে তিতুমীর কলেজকে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি সম্পর্কে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মন্তব্য করেছেন, এটি একটি ‘অযৌক্তিক’ দাবি। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে সময়সীমার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করা, এটা কোনো যৌক্তিক দাবি না। আমরা এখন থেকে আর এ ধরনের সময় বেধে দেওয়া দাবির মুখে, এমন সিদ্ধান্ত নেবো না যেটা শুধু আমাদের সময়ের না, ভবিষ্যতের বহুদিনের জন্য এটা একটা অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হবে।’
শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল হামিন বলেছেন, ‘যতক্ষণ না তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হচ্ছে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে, এবং প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।’