কুবিতে নিরাপত্তা জোরদারে ‘র‍্যাপিড অ্যাকশন সেল’ গঠনের দাবি

কুবিতে ‘র‍্যাপিড অ্যাকশন সেল’ গঠনের দাবিতে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা
কুবিতে ‘র‍্যাপিড অ্যাকশন সেল’ গঠনের দাবিতে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘র‍্যাপিড অ্যাকশন সেল’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে তারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। 

এর আগে ৩০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ সবুজকে অপহরণ করা হয়। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও তিনজন পুলিশ সদস্যের যৌথ প্রচেষ্টায় তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের, প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, সামনের সড়কে স্পিডব্রেকার স্থাপন এবং দুর্ঘটনা রোধে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, অপহরণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে এবং মামলার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্টেকহোল্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। প্রশাসন দ্রুত আলোচনায় বসবে এবং নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণের চেষ্টা করবে।

ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মুহসিন জামিল বলেন, ‘সবুজের ঘটনায় আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। উদ্ধার অভিযানের সময় আমরা নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিয়ে ভাবছিলাম, কারণ তারাও টিউশনি কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনে শহরে যাতায়াত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও তারা সবসময় নিরাপদ বোধ করেন না। তাই সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, ক্যাম্পাসের আশপাশে নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির ঘটনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ