জবিতে শিক্ষার্থীদের অনশনে ছাত্রদল কর্মী পরিচয় দিয়ে উস্কানির অভিযোগ

জবি প্রক্টর ও অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী
জবি প্রক্টর ও অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী   © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির অনশনে হ্যান্ডমাইক দিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ শাখা ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আরিফুজ্জামান টিংকু। শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা ও যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সর্দারের অনুসারী বলে জানা গেছে। 

রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ১৪ জন অনশনরত শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সব দাবি মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীরাও দাবি মেনে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন সমাপ্তি ঘোষণার প্রক্রিয়াতে ছিল। ঠিক এ সময়ে শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি আরিফুজ্জামান। আমি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার রাজনীতি করি।

জানা যায়, রবিবার রাত ১০ টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রায় ১৪ জন অসুস্থ হয়ে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে দাবি বাস্তবায়নের রোড ম্যাপ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

পরে হঠাৎ হ্যান্ড মাইক দিয়ে আরিফুজ্জামান নামে একজন শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়া ঘোষণা করেন, ‘আপনারা যারা অনশন করতে চান, সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেন। যতক্ষণ দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ আমরা এবার অনশন চালিয়ে যাব।’ 

পরে সারাদিন অনশনকারীরা তার পরিচয় জানতে চান। এ সময় বাংলা বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী সৌরভ আহমেদ ও আশরাফুল পরিচয় জানতে চাওয়াতে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ২নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৌফিব মাহমুদ সোহানের ওপর হামলা করা হয়। 

তবে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার বলেন, আমরা তাকে চিনি না। কোন কারণে কেন তিনি এমন ঘোষণা দিয়েছেন জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী আরিফুজ্জামান টিংকু বলেন, ‘আমাকে কয়েকজন এই ঘোষণা দিতে বলেছে। তাই আমি এই ঘোষণা দিয়েছি।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ছাত্রদল সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকারের সাথে আছে। তবে বিশৃঙ্খলাকারীদের দলে ঠাই নেই। কেউ কোন প্রকার উস্কানি ও বিশৃঙ্খলা করে তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘অনশনরত অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও এ শিক্ষার্থী কেন এখানে আসল? বিষয়টি সন্দেহজনক। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ