খুবিতে বৈষম্য দূর করতে কমিটি করা হয়েছে: উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ AM , আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ AM
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সব ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে, অচিরেই তা দূর করতে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি সংকটের চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। খুলনার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়নে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে উপাচার্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধসহ সব শহিদ ও কটকা ট্র্যাজেডিতে শাহাদাৎবরণকারী শিক্ষার্থীদের স্মরণ এবং তাদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন। একইসঙ্গে যারা আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে গবেষণাগুলো করবো, তা বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা এমনভাবে দক্ষ হয়ে উঠবে, তারা যেখানে যে কাজই করুক- তারা তাদের একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন এমনভাবে পরিচালিত হবে, যেন তা সমাজের এবং জাতির টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনাদের সকলের সহযোগিতা এবং বর্তমান প্রশাসনের গতিশীলতা দিয়ে ‘ইমপ্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয়’ এ পরিণত করতে চাই।
আরো পড়ুন: বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার সাংবাদিক নূরুল কবীর, তদন্তের নির্দেশ ড. ইউনূসের
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে গত এক মাসে বর্তমান প্রশাসনের বেশকিছু পদক্ষেপ এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত অভিলক্ষ্য পূরণে শিক্ষা ও গবেষণা, আন্তর্জাতিক কোলাবরেশন ও র্যাঙ্কিং, দক্ষতা বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রশাসনিকভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে সুসংহতকরণ ও শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
মতবিনিময় সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান বলেন, আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক করাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইতোমধ্যে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করি।