ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের প্রতিবাদ
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের প্রতিবাদ  © ফাইল ছবি

৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে ‘ঢাকা কলেজের হলে শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন ছাত্রদলের’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক মৃধা জুলহাস।

বুধবার (৯ অক্টোবর) শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ উজ্জল গাজী স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, সোমবার রাতের ওই ঘটনার সঙ্গে ছাত্রদলকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা কলেজ প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ বিচার দাবি করেন।

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ঢাকা কলেজ ছাত্রদল একটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল সংগঠন। গত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে লড়াই করতে গিয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের কয়েকশ কর্মী কারাবরণ করেছেন এবং হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও এ সংগঠনের ভূমিকা অপরিসীম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলেজ ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ইমরান গুলিবিদ্ধ হয়ে এখনো পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ছাত্রদলের নেতা আরও বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। কিন্তু কতিপয় গণমাধ্যমকর্মী যখন দেশের অন্যতম শীর্ষ ও জনপ্রিয় ছাত্রসংগঠনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালান, তা দুঃখজনক বটে। এক্ষেত্রে তাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

প্রতিবেদকের বক্তব্য
ঘটনার দিন ঢাকা কলেজের দক্ষিণায়ন হলে ৩০১ নাম্বার রুমে রাত১২টার পর অভিযুক্ত সালাউদ্দিন, রাহাত, অর্নব তিনজনের একজন ধূমপান করতে করতে নিজেদের মধ্যে অশালীন কথা বলছিল। এসময় রুমে প্রবেশ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মারুফ তার সিনিয়র ওই তিনজনকে রুমের মধ্যে এমন অশালীন কথা বলতে নিষেধ করলে আচরণ ভঙ্গের অভিযোগ এনে তার প্রতি তারা তেড়ে আসেন কথা কাটাকাটিতে জড়ান।

পরবর্তীতে রাহাত তার বন্ধু ও কলেজ ছাত্রদলের সহ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক হাবিব হাওলাদার শিহাব ওরফে আশফাকুর রহমান শিহাবকে ডেকে এনে দরজা বন্ধ করে নির্যাতন করেন ভুক্তভোগীকে। এসময় ভুক্তভোগীকে অকথ্য ভাষার গালিগালাজ করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে ভয়ভীতি দেখায় ও চড়-থাপ্পড় মারেন। এছাড়াও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বক্তব্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্ট্যাটাস অনুযায়ী, ঘটনার সময় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন অভিযুক্তরা।

মূলত ছাত্রদলের প্রভাব খাটিয়ে এই মারধরের ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানা গেছে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে।


সর্বশেষ সংবাদ