হেলপারের কাছে মাফ চাইলেন সহ-সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া জবির সেই শিক্ষার্থী

হেলপারের কাছে মাফ চাইলেন জবির সেই শিক্ষার্থী
হেলপারের কাছে মাফ চাইলেন জবির সেই শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

রাজধানীতে সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে বাসের হেলপারকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ‘তুই চিনস আমারে, চিনস? আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সমন্বয়ক’, এই বলে লোকাল বাসের হেল্পারকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারার একটা ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় তোপের মুখে পড়ায় রাতে ওই হেলপারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জবির সেই শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে হেলপারের কাছে ক্ষমা চান জবির ওই শিক্ষার্থী। হেলপারকে মারধর করা এ যুবকের নাম তৌসিফ শাকিল। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

একটি ভিডিওতে দেখা যায় ওই শিক্ষার্থী বলছেন, আমি রাগের মাথায় সব কইরা ফেলাইছি। আমি অনেক ভীত সন্তুষ্ট, আমি কাল রাত থেকে ঘুমাতে পারছি না, খাইতে পারছি না। আমার শরীর কাঁপতেছে। আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে থ্রেট পাইতেছি। আমার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আমি আপনাদের সঙ্গে রাফ বিহাব করে ফেলছি। আমি ভয়ে একটা পরিচয় দিয়ে ফেলছি। আমারে মাফ করে দেন।

এ সময় সেই বাসের হেলপার বলেন, সে একটা ভুল করে ফেলছে, এখন সে তার ভুল বুঝতে পারছে তাই তাকে মাফ করে দিছি। আমরা যেহেতু পড়ালেখা করতে পারি নি তাই সে যেন পড়ালেখা করে বড় কিছু করতে পারে তাই তারে মাফ করে দিছি।

এর আগে, সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাসের হেলপারকে মারধর করছে শাকিল। এ সময় তিনি বলছেন— আমাকে চিনিস, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সমন্বয়ক। এক মিনিট ৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে পুরোটা সময়জুড়ে মারমুখী অবস্থায় ছিলেন সেই যুবক।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া সমন্বয়করা বলছেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে সে আমাদের সমন্বয়কদের কেও নয়। সে আগে ছাত্রলীগ করতো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-সমন্বক নামে কখনোই কোনো পদ ছিল না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একাধিক সমন্বয়ক। গত ২৯ জুলাই ২৭ সদস্যবিশিষ্ট যে সমন্বয়ক পরিষদ গঠন করা হয় তাতেও নাম নেই এই শাকিলের। 

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো সহ-সমন্বয়ক নামে কোনো পদ ছিল না। যতটুকু জানতে পেরেছি, বাসের হেলপারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা শাকিল আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এরা বিশ্ববিদ্যালয় ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারীদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।


সর্বশেষ সংবাদ