শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিতে শাটডাউন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৬ PM , আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৯ PM
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর আরোপ করা প্রত্যয় পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাটডাউন রয়েছে। পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১২ থেকে ১ টা পর্যন্ত অনুষদ ভবনের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
ক্যাম্পাস সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকল বিভাগসমূহের ক্লাস-পরীক্ষা, অফিসসমূহ বন্ধ রয়েছে। ফলে বিভিন্ন পরীক্ষাসমূহ স্থগিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাল পরীক্ষা না হওয়া এবং সেশনজটের শঙ্কায় রয়েছেন। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, যেসব আড্ডার জায়গাগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকত সেগুলো শিক্ষার্থীশূন্য রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আজ পরীক্ষা ছিল কিন্তু হচ্ছে না। এ আন্দোলন কতদিন চলবে সেটাও অনির্দিষ্ট। হঠাৎ পরীক্ষা হলে ভালো পরীক্ষা দিতে পারবো না। সেই সঙ্গে সেশনজটে পড়ব। এটির দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।
এর আগে প্রশাসনিক ভবনের ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তারা। সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান (মুকুট) বলেন, আমরা প্রত্যাহার চাই। আমরা চাই, আগের পেনশন স্কিম বহাল থাকুক। সরকারের আমলারা আমাদের পেনশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছে। আমরা তাদের এই উদ্দেশ্য সফল করতে দিবো না। আর যেসব কর্মকর্তা কাজ করবে তাদের নাজেহাল করা হবে।
শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে। ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া আমরাও সর্বাত্মক কর্মরিতি পালন করছি। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ আছে। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিজিডি প্রোগ্রামের সকল কার্যক্রম ও ক্লাস বন্ধ থাকবে, সকল প্রকার পরীক্ষা বর্জন করা হবে, ডিন অফিস, চেয়ারম্যান অফিস, সেমিনার বন্ধ থাকবে, প্রশ্নপত্র মডারেশন, নিয়োগ ও সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না, ইন্সটিটিউটের সকল কার্যক্রম- অফিস, ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রম, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ বন্ধ থাকবে। এছাড়াও গ্রন্থাগার অফিস ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাঠক সেবা বন্ধ থাকবে।