গবেষণা প্রকল্পে ৩৯ লক্ষ টাকা অনুদান পাচ্ছেন জবির ১৪ শিক্ষক
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৩ PM , আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২০ PM
গবেষণা প্রকল্পে ৩৯ লক্ষ টাকা অনুদান পাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৪জন শিক্ষক। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রকল্পে এই অনুদান পেতে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) অনুদানের জন্য মনোনীত একাধিক শিক্ষক বিষয়টি জানান। এর পূর্বে গত ১৮ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচির আওতায় গবেষকদের ৬৯৬টি বিশেষ গবেষণা প্রকল্প স্থান পেয়েছে। তার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষক ৭টি প্রকল্পে ২১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং আরও ৭ জন শিক্ষক অপর ৭টি প্রকল্পে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণা অনুদানে সর্বোচ্চ বরাদ্দ (৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা) পাচ্ছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।
বরাদ্দের জন্য মনোনীত শিক্ষকরা হলেন— অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন, ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, ড. মো. দেলোয়ার হোসেন এবং ড. জগদীশ চন্দ্র দাস,ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান।
পাশাপাশি গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল,কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. আবু লায়েক ও একই বিভাগের ড. মো. মনোয়ারুল ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার আহম্মদ এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শিল্পী সাহা অনুদানের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও জ্ঞান বিতরণের জায়গা। যেই গবেষণা প্রপোজালগুলো তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেগুলোতে অনুদানের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। অনুদানের জন্য মনোনীত শিক্ষকদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে তারা আরও উৎসাহিত হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন,যোগ্যতা ও দক্ষতা আছে বলেই আমাদের শিক্ষকরা অনুদান পাচ্ছেন। কারণ শিক্ষকরা যেসব প্রপোজাল জমা দিয়েছেন সেগুলো মানসম্মত বিধায়ই মনোনীত হয়েছে। গবেষণার ফলে নতুন জ্ঞানগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝেও পৌঁছে যাবে। সর্বোপরি গবেষণা ও শিক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক প্রকল্পের গবেষণার জন্য ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।