ড্রাগন ফল চাষের উপযোগী নোয়াখালীর মাটি ও আবহাওয়া
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০১৮, ০৫:০০ PM , আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮, ১১:৩৩ PM
নোয়াখালী অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন ফল চাষের জন্য উপযোগী। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনের বাগানে এ ফলের চাষ করে সফলতা পাওয়া গেছে।
এ কাজে জড়িত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো-কেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার সরকার। তিনি পরীক্ষামূলক এ ফল চাষে সফলতা লাভের পর প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে নোয়াখালী অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া এই ফল চাষের জন্য উপযোগী।
জানা গেছে, এশিয়া ও ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং প্রচুর চাহিদাসম্পন্ন ড্রাগন ফল। এশিয়ার থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে প্রচুর পরিমাণে এ ফল উৎপন্ন হয় এবং তাদের কাছে ব্যাপক পরিচিত এটি। কিন্তু আমাদের দেশে এখনও তেমন পরিচিত নয়। তবে রাজশাহী ও নাটোর অঞ্চলের মাটিতে এর চাষ শুরু হয়েছে। নোয়াখালীতে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষাবাদ শুরু করা গেলে দেশের কৃষিক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ড. সুবোধ কুমার সরকার জানান, এ বছরের জানুয়ারির শুরুতে উপাচার্যের বাগানবাড়িতে একটি টবে পরীক্ষামূলক ড্রাগনের চারা রোপণ করেন। ৬ মাস পর এতে ড্রাগন ফল ধরে, যা ১৭ জুলাই সংগ্রহ করা হয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম থেকে একটি ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ওই চারাটি তিনি রাজশাহীতে নিজের বাড়ির ছাদে প্রথমে রোপণ করে এক বছরের মাথায় প্রথম সফলতা পান। এবার সেই ড্রাগন ফলের চারা নোয়াখালীর মাটিতে রোপণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এ গবেষক।
তিনি জানান, লাল রঙের এ ফল খেতে খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু, রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ আছে। এ ফল ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলটি কোলন ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এ ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়তা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক সহায়তা পেলে ড্রাগন ফলের চাষ ব্যাপক পরিসরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পতিত জমিতে করা সম্ভব। এ ফলের বাণিজ্যিক চাষ কৃষকদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের খাদ্যপুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।