বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট ও অস্ত্রের ঝনঝনানি থেকে মুক্ত রেখেছি: প্রধানমন্ত্রী

  © সংগৃহীত

সরকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেশনজট ও অস্ত্র সহিংসতা থেকে মুক্ত রাখতে সফলভাবে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতে ৬ থেকে ৮ বছর ধরে সেশনজট ছিল; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অস্ত্রের ঝনঝনানি হতো। আমরা অন্তত দাবি করতে পারি যে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ক্যাম্পাসকে সেই পরিবেশ থেকে মুক্ত করতে পেরেছি।

আজ রবিবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে একথা বলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্মৃতি কর্মকার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ দিলে বাংলাদেশকে কেউ আর পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না। কেউ দেশকে অন্ধকারে ফেলে দিতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের কারও কাছে মাথা নত না করার উপদেশ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। এই বাংলাদেশ ও  বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে। আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মান নিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা কারও কাছে মাথা নত করবো না, এটি আমাদের অঙ্গীকার।

সরকার গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়াতে উপবৃত্তি দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের শিশুরা খুবই মেধাবী এবং তাদের মেধা বিকাশে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে যা আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। এতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল প্রতিভা অন্বেষণ মেধা বিকাশে একটি মহৎ উদ্যোগ, যেখান থেকে অনেক মেধাবী শিশু বের হয়ে আসছে। আজ আমাদের শিশুরা তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে এবং এখন তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সময় এ কথা মনে রাখতে হবে যে এ জাতি বীরের জাতি। তারা কারও কাছে মাথা নত করে না। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পথ দেখিয়েছি। আমাদের মেধাবী শিশুরা এই্ পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে এই দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ো তোলা হবে। এই দেশে থাকবে স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ।

আজকের যুগ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণার যুগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত বিশ্বেরর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন। কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় আরও গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, আমরা সব সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের গবেষণা একটি ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। আর তা হলো স্বাস্থ্য খাত। আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি মনে করি এটিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করেছে। সরকার সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা এবং ব্লু ইকোনমিকে গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ এটি ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।


সর্বশেষ সংবাদ