সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ

আন্দোলন থেকে না সরলে বড় ভাইদের দিয়ে ধর্ষণের হুমকি

আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

ছাত্রীরা আন্দোলন থেকে সরে না আসলে বড় ভাইদের দিয়ে ধর্ষণ করানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের শিক্ষক মসিউর রহমানের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের দাবি শিক্ষক মসিউর রহমান তাদের আন্দোলন বন্ধ করার হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘বড় ভাইদের ক্যাম্পাসে ডেকে...........ছেড়ে দেবে’। এ কথার পর ক্ষোভে ফুঁসছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০ টা থেকে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজকে জাতীয়করণের দাবিতে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষক মসিউর রহমান এই কথা বলেন বলে দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষক মসিউর রহমানের শাস্তি দাবি করেছেন।   

আরও পড়ুন: সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজকে জাতীয়করণসহ নানা দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, উনি সরাসরি আমাদেরকে এই খারাপ কথা বলেছেন। আমরা সবাই সাক্ষী, আমরা সবাই এই কথা শুনেছি। আমাদের অবস্থা ইডেন কলেজের মতো হবে বলে হুমকি দেন তিনি। আমরা তার শাস্তি চাই, তার বহিস্কার চাই। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষিকা বলেন, প্রিন্সিপাল বের হয়ে যাওয়ার সময় মেয়েরা সেখানে দাঁড়ানো ছিল। ওই মুহূর্তে তিনি এই কথা বলেছেন। অপরাধী কখনো অপরাধ শিকার করে না। যে ভুক্তভুগী সে তা বুঝে। 

পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে শিক্ষক মসিউর রহমান বলেন, আমি কিছুই বলি নাই। আমি যা বলার আপনাদের সামনেই বলে আসছি। একজন শিক্ষক কি কখনো এ ধরণের কথা বলতে পারে। এটা নিছক প্রোপাগান্ডা। 

এর আগে, শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন। এসকল অভিযোগ শুধু তাদের নয়, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকবৃন্দসহ সকলের অভিযোগ বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ও অনুমোদিত সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজটির সরকারিকরণ বাস্তবায়ন কার্যক্রম আটকে রেখে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে। সরকারি আদেশ অমান্য করে সরকারি অধ্যক্ষ প্রেষণে নিয়োগ আদেশ বাতিলের অপচেষ্টা ও অধ্যক্ষকে তার সিটে বসতে দেয়া হচ্ছে না। বিগত ৩ বছর ধরে সরকারিকরণ প্রক্রিয়াধীন বলে নিয়োগ, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। 

এছাড়া তাদের অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে, শিক্ষার্থীরা ২৫ টাকা বেতনে পড়ার কথা জেনে ভর্তি হয়েও মাসে ১৩০০ টাকা বেতন দিতে হচ্ছে যা তাদের পরিবারের জন্য ভীষণ চাপের ও হতাশার। একই সাথে এটি প্রতারনার শামিল। অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। নির্বাচন বিধি বহির্ভূতভাবে করার অপচেষ্টা চলছে। যেসব শিক্ষক ছুটিতে থাকবে তারা শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেনা এমন নিষেধাজ্ঞা প্রদানের মাধ্যমে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। কলেজ সরকারিকরণ এর পক্ষে কথা বললে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের নানারকম ভয় ভীতি দেখানো হয়। শিক্ষক-কর্মচারীর চাকুরি চলে যাবে, শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে দেয়া হবে এমন সব কঠোর শান্তির কথা বলা হয় ও হয়রানি করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence