‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পাহাড়ি সড়কে চলছে রাবিপ্রবির বাস
- রাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৪০ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪৯ PM
ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি সড়ক ধরে চলছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। রাঙ্গামাটি শহরের আসামবস্তি ব্রিজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার বেশিরভাগই ভাঙাচোরা ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তা ও বিভিন্ন বাকেঁর কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাস ড্রাইভারদেরও।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যোগ করেছে বাড়তি ঝামেলা। রাস্তায় উন্নয়নের কাজে বিভিন্ন উপকরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে ছোট-বড় ইটের টুকরা। এতে ছোট-বড় যানবাহন চলাচলেও হয়ে পড়ছে অনুপোযোগী। এমন পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াতে ঘটে যেতে পারে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উঁচু থেকে নিচুঁ বা নিঁচু থেকে উঁচুতে উঠতে বিভিন্ন যানবাহনের যে পরিমান নিয়ন্ত্রনের দরকার হয়, তার অনেকটাই থাকে না। একই সাথে দুটি গাড়ি ওভারটেকিং করার সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ১২ প্যাকেট গাঁজাসহ রাবির চার শিক্ষার্থী আটক
রাবিপ্রবি বাস ড্রাইভার হানিফ বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে গাড়ি চালাতে আমরা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি। এসব ভাঙা ইটের খোঁয়া ও বিভিন্ন পাথরের টুকরা যেকোন যানবাহনের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর। হঠাৎ চাকা পাংচার হয়ে গেলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রায় প্রতিদিন কাপ্তায় লিংকরোড ধরে চলে রাবিপ্রবির শিক্ষার্থী পরিবহন করা তিনটি বাস। এছাড়াও কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে। ক্যাম্পাসে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক হওয়ায় বিকল্প কোন রাস্তা ব্যবহারেরও সুযোগ নেই। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাবিপ্রবিয়ানরা।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী প্রনব রায় চৌধুরী বলেন, আগের চেয়ে রাস্তা এখন প্রশস্ত। আগামী দুই-তিন মাসের মাধ্যে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন চলাচলের সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, এতদিন পুরো রাস্তার বিষয়ে একই ধরনের পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চলাচল করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে; তাই আসামবস্তি ব্রিজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য আলাদা পরিকল্পনা করা হয়েছে।