‘এটি আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য না হওয়ায় দায়ভারও আমার নয়’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৩২ PM , আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২২, ০৫:০৬ PM
ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় করা বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী। কলেজ ও ছাত্রীদের নিয়ে বৈশাখীর করা মন্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি ওই বক্তব্য তার নিজের নয় বলে দাবি করেছেন। রবিবার (০৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কলেজ প্রশাসনের গঠিত চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির কাছে দুই পৃষ্ঠার লিখিত ব্যাখ্যা দেন তিনি।
এর আগে দুপক্ষের উত্তেজনার মধ্যেই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক রিভা ও রাজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী বলেন, বৈধ রুমের মেয়েরা উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করার সময় সভাপতির (তামান্না জেসমিন রিভা) অনুসারীরা তাদের ছবি তুলে রাখেন।
‘‘পরে সেখান থেকে সুন্দরীদের বাছাই করেন। এরপরে বাছাইকৃত মেয়েদের রুমে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে খারাপ উদ্দেশ্যে তাদের বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দেওয়া হয়। কারণ, তারা ওই মেয়েদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করাতে চান।’’
আরও পড়ুন: ইডেনের সুন্দরীদের ছবি তুলে খারাপ প্রস্তাব দেয়, বিস্ফোরক ছাত্রলীগ নেত্রী
এরপর থেকেই মূলত ফেসবুক এবং ফেসবুকের বাইরেও ইডেন কলেজ ছাত্রীদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। লিখিত ব্যাখ্যায় সামিয়া আক্তার বৈশাখী বলেন, গত ২৪ তারিখ কলেজে উদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে আমার একটি বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।
‘‘মূলত সেখানে উল্লেখিত বিষয় আমার নিজের বক্তব্য নয়। সন্ধ্যার পর বহু ছাত্রী ঘটনাস্থলে যায় ও হট্টগোল সৃষ্টি করে। সেখানে একাধিক ছাত্রী চিৎকার করে এইসব বিষয়ে কথা বলে- যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়। পরে রাগান্বিত অবস্থায় যখন মিডিয়া আমার কাছে এসব নিয়ে বক্তব্য জানতে চায়, তখন আমি এসব বিষয়ে ছাত্রীরা অভিযোগ করছে বলে উল্লেখ করি। কিন্তু মিডিয়াতে আমার আংশিক বক্তব্য প্রচার করা হয়।’’
এর আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কলেজ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বাইরে বের হলেই ইডেন ছাত্রীদের দিকে ধেয়ে আসছে তির্যক মন্তব্য
বৈশাখী বলেন, ‘বক্তব্যে কখনই প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো দোষারোপ করা হয়নি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখ করেও কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। আমার আংশিক বক্তব্য প্রচারের ফলে এখানে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। যার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
নতুন ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে সবাই আমায় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এক্ষেত্রে আমার প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ শিক্ষার্থী বোনদের কোনোভাবে লাঞ্ছিত করার কোনো উদ্দেশ্য নেই। মিডিয়াগুলোতে আমার বক্তব্য সংশোধনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এটি আমার কোনো ব্যক্তিগত বক্তব্য না হওয়ায় এ বিষয়ে কোনো দায়ভার আমার নয়।’