লুঙ্গি পরা নিয়ে ইবিতে সিনয়র-জুনিয়র মারামারি, তদন্ত কমিটি গঠন
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:২৭ PM , আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৪০ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক ছাত্র লুঙ্গি পরাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়র মারামারির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনকে আহ্বায়ক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন ও সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে। এ কমিটিকে চার সপ্তাহের মধ্যে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রক্টরিয়াল বড়ির সদস্যবৃন্দ প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখেন যে, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। বিশৃঙ্খলাজনিত কারণে খন্দকার তাসওয়ার হোসেন চোখের পাশে আঘাত প্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের হামজ্জা মোহাম্মদ নূর এবং মাজহুরুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো।
আরও পড়ুনঃ এবার এইচএসসি পরীক্ষাও হবে ২ ঘণ্টা
প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট উপাচার্য স্যারকে প্রেরণ করেছি। তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটিতে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনকে আহবায়ক করা হয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট ল' এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের হুজ্জাতুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসায় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের রিংকু তাকে শাসালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ৩১ আগস্ট জিয়া হলের সামনে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ফেরার পথে অনুষদ ভবনে ও জিয়া হলে সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর মারামারিতে আহত মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাসওয়ায় খন্দকার প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগে সে উল্লেখ করে, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের জহিরুল ইসলাম রিংকু, হামজা, জামিল, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের আশিক, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আশিক কোরাইশি, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জিহাদ ও মিনহাজসহ কয়েকজন শুক্রবার নামাজ শেষে ফেরার পথে তার উপর আক্রমণ করে।