মার্চ-এপ্রিলে কমবে সংক্রমণ, সর্দিই মূল কারণ: ড. বিজন
- গবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:৩৬ PM , আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:৩৬ PM
বর্তমানে সর্দির কারণে ওমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং এটাই সংক্রমণের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী ও সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল।
আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সিঙ্গাপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন গবিসাসের সাথে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। বক্তব্যের কিছু অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
সর্দিই সংক্রমণের মূল কারণ
এখন কমবেশি সবারই সর্দি হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিস্যু ছাড়া নাকে হাত দিচ্ছে সবাই। ঐ হাত যখন অন্য কোথাও স্পর্শ করছে এবং সেখানে আরেকজন হাত দিলে সে আক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: আকর্ষণীয় সিভি লেখার কৌশল
এছাড়া সর্দি মাটিতে পড়ে শুকিয়ে ডাস্টে পরিণত হচ্ছে। এই ডাস্টের মাঝে ভাইরাস দুই মাস বেচে থাকে। পরবর্তীতে এটা বাতাসের মাধ্যমে আরেকজনের নাকে ঢুকে আক্রান্ত করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা গ্রামে চলে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে যারা আক্রান্ত, তাদের মাধ্যমে গ্রামেও এটা ছড়িয়ে পড়ছে।
দ্রুত ছড়ালেও ভয়ংকর নয় ওমিক্রন
বর্তমানে ওমিক্রণের তিনটি ধরণ (বিএ ডট ওয়ান, বিএ ডট টু এবং বিএ ডট থ্রী) রয়েছে। এর মাঝে প্রথমটির সংক্রমণ ৫০০ গুণ ছড়িয়েছে। দ্বিতীয়টি ছড়িয়েছে ১২০ গুণ। তবে দ্বিতীয়টির ৮০টি মিউটেশন (রুপান্তর) হলেও প্রথমটির হয়েছে ৬০টি। এগুলোর সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও প্যাথোজেনেসিটি (রোগ সৃষ্টির ক্ষমতা) বাড়েনি। যার কারণে ওমিক্রন দ্রুত ছড়ালেও ভয়ংকর নয়।
মার্চ-এপ্রিলে কমবে সংক্রমণ
আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনা পিক টাইমে (সর্বোচ্চ সংক্রমণ) থাকবে। এরপর সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে থাকবে। মার্চ ও এপ্রিল মাস থেকে ভালোভাবে কমতে পারে। আগামী সেপ্টেম্বরে ওমিক্রন প্যান্ডেমিক (বৈশ্বিক) থেকে এন্ডেমিকে (দেশীয়) পরিণত হবে। তখন এটা অন্যান্য সাধারণ রোগ-বালাইয়ের মতো হবে। ভয়ের কিছু থাকবে না।
আরও পড়ুন: গিনেস বুকে ঠাঁই পেল সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু চারু
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল একজন বাংলাদেশি অণুজীব বিজ্ঞানী। তিনি সার্সের কুইক টেস্টের আবিষ্কারক। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সেমিনার ও সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। করোনাভাইরাস দ্রুত শনাক্তকরণে তার উদ্ভাবিত র্যাপিড ডট ব্লট কিট সাড়া জাগালেও বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি না মেলায় তা বাজারজাতকরণ সম্ভব হয়নি।