ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাটা সায়েন্স সামিট অনুষ্ঠিত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১২:১৫ AM , আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১২:১৫ AM
ড্যাফোডিল ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইনফরমেশন টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের আয়োজনে শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী ভার্চুয়াল ‘ডাটা সায়েন্স সামিট-২০২০’।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে ডাটা সায়েন্স সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। আরও বক্তব্য রাখেন মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. শেখ মোহাম্মদ আলায়ের, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ড. ইমরান মাহমুদ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী প্রধান কৌশিক সরকার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ডাটার মূল্য এখন সোনা রূপার চেয়েও বেশি। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সারা পৃথিবীতেই অনলাইনের ব্যবহার বেড়েছে। ফলে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডাটা সংযুক্ত হচ্ছে এই ভার্চুয়াল জগতে। এই অসংখ্য ডাটার ভেতর থেকে ব্যবহার উপযোগী ডাটা খুঁজে বের করা এবং প্রয়োজনমতো ব্যবহার করার নামই ডাটা সায়েন্স।
ডাটা সায়েন্সের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোভিডের ভ্যাকসিন গবেষণায় প্রচুর ডাটা ব্যবহৃত হচ্ছে। একইসঙ্গে মেশিন লার্নিং, বিগ ডাটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আমরা খুব দ্রæত কোভিডের ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছি।
সৈয়দ আলমাস কবির আরও বলেন, ডাটা সায়েন্স শুধু কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থীদের বিষয় নয়। এটি এখন অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে শেষবর্ষে হলেও ডাটা সায়েন্স কোর্স পড়ার আহবান জানান
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মো. সবুর খান বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ই শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করে। ভবিষ্যতে ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে ডাটা সায়েন্স বিরাট ভূমিকা রাখবে। সেজন্য ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে ইতোমধ্যেই ডাটা সায়েন্স কোর্স যুক্ত করেছে।
ড. মো. সবুর খান আরও বলেন, যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে ডাটা এনালাইসিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশে এই চর্চা এখনো ব্যপকভাবে শুরু হয়নি বলে অনেক নবীন উদ্যোক্তা ব্যবসায়িকভাবে সফল হতে পারছে না। ডাটা সায়েন্সের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত ২২ নভেম্বর ডাটা সায়েন্স সামিটের উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশ সরকারের এটুআই প্রকল্পের টেকনোলজি এক্সপার্ট ফজলে মুনিম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রেখেছিলেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূঁইয়া। দুই দিনের এই সামিটে দেশ বিদেশের ডাটা সায়েন্স বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের সেশন পরিচালনা করেন।