মধ্যরাতে ড্যাফোডিলের হলে ভেঙে পড়লো ফ্যান
- ড্যাফোডিল প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৮ PM , আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৮ PM
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হলে এক রুমের ফ্যান মধ্যরাতে বিস্ফোরণের মতো শব্দ করে ভেঙে পড়ে শিক্ষার্থীর খাটের মাথার কাছে। এতে ঘটনাস্থলে আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে এবং হলে অবস্থানরত হল অফিসারকে জানালেও কেউ ঘটনাস্থলে না আসার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার সময় প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী ঘুমানোর উদ্দেশ্যে লাইট বন্ধ করতে গেলে এমন ঘটনা ঘটে।খাটে না থাকায় শিক্ষার্থী বড় কোনো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান বলে জানা যায়। ঘটনাস্থল ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-২ হলের বি ব্লকের ৩০৪ নম্বর রুম।
দূর্ঘটনা রুমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবাই ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সিফাত লাইট অফ করতে গেলে হঠাৎ পাখাটি বিস্ফোরণের মতো শব্দ করে নিচে পড়ে যায়। এতে রুমের সবাই ভয় পেয়ে যায়, আশপাশের রুমের শিক্ষার্থীরাও ছুটে আসে। সবাই মিলে হল প্রভোস্টসহ হল প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেননি।
অতঃপর দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়া ফ্লোরে অবস্থানরত সহকারী হল অফিসার মোহাম্মদ নূরনবীকে টানা দশ মিনিট ডাকার পর তিনি তার নিজ রুমের দরজা খুলে। শিক্ষার্থীরা ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে আসার অনুরোধ জানালে তিনি বলেন,আমি গিয়ে কী হবে, তোমরা নিচতলায় টেকনিশিয়ানের কাছে যাও। এই কথায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ রুমে ফিরে যান এবং ভাঙা পাখাটি একই স্থানে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান।
রুমের সদস্য সিফাত বলেন, ‘ভয়ে মুখ থেকে কথা বের হচ্ছিল না। আর দুই মিনিট আগে লাইট অফ করলে হয়তো পাখাটা আমার উপরেই পড়তো।’ রুমের আরেক সদস্য বলেন, ‘আমরা কেউ ঘুমাতে পারছি না, সবাই বসে আছি। কেমন একটা ভয় কাজ করছে। কিছুদিন আগেই তো সব পাখা পরিষ্কার করলাম, হঠাৎ এমন ঘটনা! এমন দুর্ঘটনার পরও তাদের কি আসা উচিত ছিল না, এটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘১০/১৪ তলা হলই বানাচ্ছেন, কিন্তু যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করেন, তাহলে কীভাবে চলবে!এমন একটা ঘটনা ঘটলো, অথচ কারও কোনো গুরুত্ব নেই।হলের পাখা গুলোর নিরাপত্তা দেখতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-২ এর হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।