শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের উদ্যোগ নিল ফেনী ইউনিভার্সিটি

ফেনী ইউনিভার্সিটি
ফেনী ইউনিভার্সিটি  © টিডিসি

স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ নানা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে ফেনী ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম ভূঞার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৫টায় শর্শদী ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বাজার সংলগ্ন ইউনিভার্সিটির নির্ধারিত স্থানে স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে 'উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি' গঠন করা হয়েছে। এতে, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মেম্বার সেক্রেটারি ডা. এ এস টি এম উল্লাহ চৌধুরী বায়জিদকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য আবদুস সাত্তার, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রইচ কাইজার, ট্রেজারার মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ, সদস্য আলতাফ হোসেন, ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবুল কাশেম, ট্রেজারার (ভারপ্রাপ্ত) সোহরাব হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম ভূঞা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান আলী আকবর সিয়াম, মেনটেইনেন্স অফিসার জালাল আহমেদ। কমিটিতে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন, ইংরেজি বিভাগের কাজী আল আমিন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাহমুদুল হাসান চৌধুরী ও আইন বিভাগের সৈকত হোসেন সজীব।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত ৮টায় ফেনী ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি জরুরি অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন আহমেদ।

স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ নানা দাবিতে ১৮ আগস্ট থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম জামালউদ্দীন আহমদ পদত্যাগ করেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর ১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটির উন্নয়নে ১৫ দফা দাবি পেশ করেছিল। কর্তৃপক্ষ দাবি মানার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ২১ অক্টোবর ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এতে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে আবারও আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে পরিবর্তন হয়নি। সর্বশেষ ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।


সর্বশেষ সংবাদ