ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় এক ছাত্র বহিষ্কার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০২:০৯ PM , আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০২:০৮ PM
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে সহপাঠী ও শিক্ষকের ওপর একাধিকবার আক্রমণাত্মক ও বিশৃঙ্খল আচরণের ঘটনায় মেহেদী হাসান অভি নামের এক ছাত্রকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টরের দপ্তর থেকে এক নোটিশে এই তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘EEE309’ কোর্স চলাকালে ওই ছাত্র একাধিকবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশৃঙ্খল আচরণ করেছেন। অনুমতি ছাড়া রেকর্ডিং এবং একাডেমিক পরিবেশ বিঘ্নিত করার মতো ঘটনায়ও তিনি জড়িত ছিলেন। এসব কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা ও আচরণবিধির লঙ্ঘন এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কমিউনিটির নিরাপত্তা ও মর্যাদার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিনিষেধের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নোটিশে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত ছাত্রকে তাৎক্ষণিকভাবে সব ক্লাস থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সামার ২০২৫ সেমিস্টারের (EEE309) কোর্সে এই ঘটনাগুলো ঘটে। কোর্সটি পরিচালনা করেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. তৌহিদুর রহমান। বহিষ্কৃত ছাত্র মেহেদী হাসান ওভি একাধিকবার ক্লাস চলাকালে চিৎকার-চেঁচামেচি, দরজায় লাথি মারা, শিক্ষককে হুমকি দেওয়া, অনুমতি ছাড়া লেকচার রেকর্ড করা এবং সহপাঠীদের ওপর শারীরিকভাবে হামলা করার অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহপাঠী বলেন, ‘একবার সে ক্লাসে ঢুকে ফোন নিয়ে সোজা ড. রহমানের মুখের কাছে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে। তার ভাষা ও আচরণ ছিল রীতিমতো ভয়ঙ্কর, যেন কোনো রাস্তাঘাটের মাস্তান।’
ক্লাসে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত একটি ক্লাসে ঘটেছে সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা। ওই দিন ‘ডিফিউশন’ বিষয়ে লেকচার চলাকালে মেহেদী হাসান ড. তৌহিদুর রহমানের ব্যক্তিগত বাঁশি নিয়ে সেটি ভাঙার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি সহপাঠী ফারদিন রহমান, সানজিদ আহমেদ এবং নুসরাত জাহানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে জানান তারা। ওই দিনের পুরো ঘটনাটি ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড রয়েছে বলেও জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিষয়টি শৃঙ্খলা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা মিললে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।