শহীদ মুগ্ধর নামে পানির কারখানা করবে অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়

এডাস্টে ‘জুলাই স্মৃতিতে অমলিন আমরা’ শীর্ষক স্মরণসভা ও ইনসেটে শহীদ মুগ্ধ
এডাস্টে ‘জুলাই স্মৃতিতে অমলিন আমরা’ শীর্ষক স্মরণসভা ও ইনসেটে শহীদ মুগ্ধ  © টিডিসি সম্পাদিত

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধর স্মৃতিকে অমলিন রাখতে তার নামে একটি মিনারেল ওয়াটার কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এডাস্ট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কারখানায় উৎপাদিত পানি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) ঢাকার দিয়াবাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতিতে অমলিন আমরা’ শীর্ষক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে এ ঘোষণা দেন এডাস্ট বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন।

তিনি বলেন, মুগ্ধ শুধু একজন ছাত্র নয়, তিনি ছিলেন গণতন্ত্র রক্ষার প্রতীক। তার নামে পানি কারখানা গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব, যেন মানুষ শুধু নামেই নয়—জলেও মুগ্ধকে স্মরণ রাখে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহীদ মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল, কিন্তু সেটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তার ভাষায়, ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, তা ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে হারিয়ে ফেলেছি। শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিলেন—তিনি কখনও জাতির পিতা হতে পারেন না। আর তার কন্যা শেখ হাসিনাও হয়ে উঠেছেন স্বৈরাচারতন্ত্রের দানবকন্যা।

স্মরণসভায় শামসুল আলম লিটন বলেন, মুগ্ধ জীবন দিয়ে অক্সিজেন জুগিয়েছে সারাদেশের আন্দোলনে। স্বৈরাচারের দাসত্ব থেকে সে ১৮ কোটি মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। তার আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না।

অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও এডাস্ট এসডিআই পরিচালক ড. আ. ন. ম. এহসানুল হক মিলন বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনা প্রমাণ করে—ফ্যাসিবাদ এখনও দেশ থেকে নির্মূল হয়নি। এই দানবের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল হক চৌধুরী, সদস্য-সচিব মো. কামরুজ্জামান লিটু, সদস্য কামরুন নেহার, চীফ একাডেমিক অ্যাডভাইজর অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. শহীদুল ইসলাম, গবেষক ও শিক্ষক একেএম জাকির হোসেন, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন আকতার, রোবোটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান মাজিদ ইসতিয়াক আহমেদ, মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের কো-অর্ডিনেটর জুবায়ের আহমেদ, পুনব কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুব হাসান আকন্দ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল হালিম ও মারজান আহমেদ উচ্ছ্বাস।

প্রসঙ্গত, আন্দোলন চলাকালে ১৮ জুলাই খাবার পানি এবং বিস্কুট বিতরণ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। মুগ্ধর মৃত্যু কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।


সর্বশেষ সংবাদ