গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

কোনো পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি প্রবেশ করাতে চাইলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা

গণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ইনসেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আবুল হোসেন
গণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ইনসেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আবুল হোসেন  © টিডিসি

ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদামতলায় মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড ও দেশজুড়ে চলমান খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই গণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। অতীতে কোন রাজনৈতিক দল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। কোনো পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি প্রবেশ করাতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে রাজনীতির অনুপ্রবেশ ক্রমেই বাড়ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের জন্য হুমকি। তারা ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ সব ধরনের দলীয় ছাত্রসংগঠনের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তারা। এ ছাড়াও সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলে ধরেন। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ‘অছাত্রদের’ প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

বিশ্ববিদ্যালয়টির মো. নাসিম খান বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে কোনো দলীয় রাজনীতি চলবে না। মতের ভিন্নতায় অতীতে যেভাবে হামলা, দখল ও নির্যাতন হয়েছে, আমরা তার ঘোরবিরোধী। রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ রক্ষা করতে শিক্ষার্থীরাই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। কোনো রাজনৈতিক ছত্রছায়া নয়, চাই নিরাপদ ও স্বাধীনভাবে শেখার পরিবেশ।’

ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ রহমান আলাপ বলেন, ‘সারা দেশে বিচারহীনতা আর অনিশ্চয়তার পরিবেশ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে গবির মতো অরাজনৈতিক ক্যাম্পাসেও অনুপ্রবেশ ঘটছে রাজনৈতিক দলের। প্রশাসনের নীরবতায় ১৬ বছরে যা হয়নি, তা গত এক বছরে সম্ভব হয়েছে। আমরা ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি, বহিষ্কার না করলে কঠোর আন্দোলন হবে।'

ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিল আহমেদ বলেন, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল জাফরুল্লাহ স্যারের স্বপ্ন, যা রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের প্রতীক। ৯ জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ড যেন আইয়্যামে জাহেলিয়াকেও হার মানিয়েছে অপরাধ ছিল কেবল চাঁদা না দেওয়া। আমরা এই স্বপ্নের অবমাননা হতে দেবো না। প্রয়োজনে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’জুলাই শহীদ দিবসে’ বেরোবিতে যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা


সর্বশেষ সংবাদ