ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ‘অছাত্রদের’ প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জবি শিক্ষার্থীদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৯ PM , আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:০৭ AM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ৩ নেতার ওপর ছাত্রদল কর্তৃক হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (১৩ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবি জানান। এ ছাড়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ও হামলায় জড়িত অছাত্রদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনোদিন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার সাহস কেউ করেনি। ৫ আগস্টের আগেও আমাদের শিক্ষকের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। ৫ আগস্টের পরে এসে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার সাহস তারা কোথায় পেল?।’ বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘আগে শিক্ষার্থীদের ট্যাগ দিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে দিতো না। ট্যাগের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে। আগে দেয়া হত শিবির ট্যাগ। এখন ছাত্রলীগ ট্যাগ দেয়া হচ্ছে। যারা জুলাইয়ে আহত হয়েছে, তাদের ট্যাগ দিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে দেয়া হচ্ছে না।’
ইরফান বলেন, ‘ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা জুলাইয়ে আহত হন এবং বিগত সময়েও ছাত্রদল করেছে তাদেরকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বডিতে থাকা ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলামের ওপরও হামলা করে ছাত্রদল। যেখানে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের নিরাপত্তা নেই। সেখানে এসব সন্ত্রাসীদের থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিরাপদ থাকবে? কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিন্দাটুকু জানায়নি। এ ছাড়া নিরব ভূমিকায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরাও।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদেরকে গালিগালাজ ও হামলা করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা— এমনটাই দাবি শিক্ষার্থীদের।
একই সাথে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর শুরু করে তারা বলে জানান শিক্ষার্থীরা।