ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিবৃতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০১:১০ AM , আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৭ PM
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও প্রশাসন নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে, যা ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ ও ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আহমেদ ফরহাদ খান সকল গণমাধ্যমকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অপপ্রচারে যুক্ত না হয়ে যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য প্রচার করেন।
এ বিষয়ে আহমেদ ফরহাদ খান বলেন, আমার পিতা মো. মকবুল আহমেদ পূর্ববর্তী বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। তারপর আমরা নতুন বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন করি এবং তা যথাযথভাবে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মসে দাখিল করি। সেখান থেকে আমরা রেকর্ডেড কপি প্রাপ্ত হই এবং এনএসআই ক্লিয়ারেন্সও গ্রহণ করি। এরপর সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) জমা দিই। ফলে বর্তমানে গঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এবং এর চেয়ারম্যান সম্পূর্ণভাবে বৈধ ও আইনানুগ।
আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আমাদের বোর্ডের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। প্রথমে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে তাঁর আবেদন খারিজ হয়। পরে জেলা জজ আদালতে আপিল করলেও তা-ও খারিজ হয়। অতঃপর হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন দায়ের করলে, হাইকোর্ট শুধুমাত্র রুল জারি করে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। আমরা এই আদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ করলে, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে। অর্থাৎ, এখন পর্যন্ত প্রতিটি আদালতের আদেশ আমাদের অনুকূলে এসেছে। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও চেয়ারম্যান নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বিচারাধীন বিষয়ে পরিণত হয়েছে এবং এতে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে আহমেদ ফরহাদ খান আরও বলেন, গত ৮ মাস ধরে আমরা আইনানুগভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ১৫ বছর আগের, যখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় কোনোভাবেই যুক্ত ছিলাম না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে অনৈতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলীম দাদ বলেন, মো. মকবুল আহমেদের নিযুক্ত কিছু বহিরাগত ব্যক্তি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে, যার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।