জার্মান ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের দিনভর বিক্ষোভ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ০৫:৪৮ PM , আপডেট: ১৮ মে ২০২৫, ০২:৪৫ PM

ঢাকার অদূরে গাজীপুর মহানগরীর তেলিপাড়া এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। হঠাৎ করে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার (১৬ মে) এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল থেকে দিনভর বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। বিকাল ৫টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৫ মে অনুষ্ঠিত জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনিবার্য কারণবশত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইউনিভার্সিটির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এই আদেশ ১৬ মে শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গণঅনশন শুরু
এ অবস্থায় আজ সকালে ক্যাম্পাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, তাদের কিছু দাবি ছিল, সেগুলো দুই সপ্তাহ আগে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে জানানো হয়েছিল। কিন্তু দাবিগুলো না মেনে হঠাৎ করেই নোটিশ দিয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউনিভার্সিটি বন্ধ। এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গেট তালাবদ্ধ করে রেখেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো কথা বলছে না।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—এক মাসের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যোগ্য উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের নিয়োগ সম্পন্ন করা; সব বিভাগে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর ১০ বছর হয়ে গেলেও এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না, দ্রুততম সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের পদক্ষেপ নেওয়া; ওয়েবসাইট ও শিক্ষার্থীদের জন্য ই-সেবা পোর্টাল চালু করা; সব বিভাগে পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি সুবিধা নিশ্চিত করা; প্রশাসনিক সেকশনে শিক্ষার্থীরা যেন কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শারমিন মনি বলেন, ‘আমাদের কোনো কিছু না জানিয়ে গতকাল রাত ৮টায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওনারা এখন আমাদের মুখোমুখি হচ্ছে না। আমরা অনেক টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দিচ্ছে না। তালা দিয়ে রেখেছে।’