ভারতীয় আগ্রাসন-প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের
- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ PM , আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ PM
ভারতীয় আগ্রাসন, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড ও অনলাইন মিডিয়ায় বাংলাদেশ বিরোধী প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইন, আগরতলায় হওয়া বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে নানামুখী প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী নানা স্লোগানও দেন তারা।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে ‘সেন্ট্রাল স্টুডেন্ট অব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা র্যালি নিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বহুমুখী চিত্র তুলে ধরে বক্তারা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারতের সম্পৃক্ততা রয়েছে। প্রতিনিয়ত সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে মানুষ মারছে। শিক্ষা, নদী শাসন, অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ, অর্থনীতিসহ সবকিছুতেই প্রভাব বিস্তার করেছে ভারত। বাংলাদেশে গত ১৬ বছরে ভারতপন্থী সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের মাধ্যমে হওয়া ভারতের সাথে সকল শোষণ মূলক একপাক্ষিক ও অসম ফরেন পলিসি ও চুক্তিগুলোকে বাতিল করতে হবে। ভারতীয় উগ্র-হিন্দুত্ববাদের আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে এসময় বক্তারা বলেন, সমন্বয়কদের ওপর হামলা হলে সাথে সাথে প্রতিবাদ জানানো হয়। অথচ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হলেও তারা কোনো প্রতিবাদ করে না। এমন দ্বিচারিতা থেকে সমন্বয়ক ও সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান তারা।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণের প্রতি কিছু দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো-পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত শুরু করা। ৭১’র নির্ভুল ইতিহাস ও চেতনা রক্ষার্থে স্বতন্ত্র কমিশন তৈরি করা। ভারতপন্থী সকল সংস্থা ও দালাল পত্রিকাকে বয়কটের পাশাপাশি কট্টর ভারতপন্থী সব রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে বর্জন করা। এছাড়াও সম্প্রতি দুই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর খুনের বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে করার কথাও জানান শিক্ষার্থীরা।