তথ্য-ন্যায্য সমাজ গঠনে এগিয়ে আসুন: সোনিয়া কুইপ

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সোনিয়া কুইপ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সোনিয়া কুইপ  © সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সোনিয়া কুইপ সঠিক ও মানসম্মত তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে একটি তথ্য-ন্যায্য সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। রোবার (১ এপ্রিল) সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (স্যাকমিড) ও  ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। 

“বাংলাদেশে সামাজিক ও ডিজিটাল মিডিয়ার ঝুঁকি: উত্তরণের উপায়” শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া। তিনি বলেন, সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে সামাজিক ও ডিজিটাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করে এ মাধ্যমকে জনকল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউআইইউ’র এমএসজে বিভাগের প্রধান ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম ও একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মারিও হিয়ারস্টেইন এবং স্যাকমিডের উপ-পরিচালক সৈয়দ কামরুল ইসলাম। 

ডিজিটাল যুগে অপতথ্য বিস্তারের ফলে উদ্ভূত নানামুখী প্রতিকূলতার উপর আলোকপাত করেন শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যম কর্মী, উন্নয়ন কর্মী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষকসহ বিশিষ্ট অতিথিরা। বাকস্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা, ঘৃণামূলক বক্তব্য, অপতথ্য ও গুজব ছড়ানোর মতো চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবেলায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো আলোচিত  আইনের ভূমিকাও আলোচনায় প্রাধান্য পায়। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র পলিসি এডভাইজর নামিয়া আখতার উপস্থিত ছিলেন এবং এতে বক্তব্য রাখেন স্যাকমিডের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নাজার-ই-জিলানী।

ইউআইইউ’র জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত মো. মোস্তানসির বিল্লাহ; সিনিয়র সাংবাদিক ও সহযোগী অধ্যাপক এম মাহবুব আলম; সাংবাদিক প্রশিক্ষক ও শিক্ষক রফিকুজ্জমান; প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুন; ফ্যাক্ট চেক বিশেষজ্ঞ শুভাশীষ দাস; ইউআইইউ’র ইমাম মুফতি সফিকুল আলম মাহমুদ, সাংবাদিক, তরুণ নেতা, উন্নয়ন কর্মী প্রমুখ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন। 

গোলটেবিল বৈঠকটি বাংলাদেশের সামাজিক ও ডিজিটাল মাধ্যমের সমসাময়িক বাস্তবতায় মানসম্মত তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য  ভুল ও অপতথ্য প্রতিরোধের কৌশল গ্রহণের লক্ষ্যে সংলাপ ও সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন আলোচকরা।

 

সর্বশেষ সংবাদ