ডিআইইউর ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার: ইউজিসির সামনে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা সাংবাদিকদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৪ PM , আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪, ০৫:০১ PM
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) সাংবাদিকতা করায় সাময়িক বহিষ্কার হওয়া দশ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)৷ বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়৷
মানববন্ধনে সেই সাথে অবিলম্বে এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা চর্চার সুযোগ নিশ্চিত করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবেও জানান সাংবাদিক নেতারা। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নিকৃষ্ট কাজ করেছে। শামীম হায়দার পাটোয়ারী আপনি টকশো'তে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই। আপনাকে অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। ভিসি মহোদয়, আপনি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিন। নতুবা আপনাদের দুজনের অফিস নয়, বাড়িও ঘোরাও করা হবে। আপনাদের নগ্ন চেহারা তুলে ধরা হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অবশ্যই অনিয়ম হচ্ছে। এজন্য সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা করতে দিচ্ছে না। ছাত্রদের অবশ্যই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে, একইসঙ্গে তাদের সাংবাদিকতা করতে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করা না গেলে এর পরিণাম ভালো হবে না৷
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কারও নিজের নিয়ম অনুযায়ী চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী চলতে হবে। মঞ্জুরি কমিশনের আইন অনুযায়ী চলবে৷ ভিসি সাহেবের আইন অনুযায়ী চলবে না৷ অন্যায়ভাবে কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না, তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতেই হবে। এটা মগের মুল্লুক নয়৷ আমি শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে কল দিয়েছিলাম৷ তিনি আমার সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন৷ অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাদের মর্যাদা দিয়ে সাংবাদিকতা করার পূর্ণাঙ্গ সুযোগ দিতে হবে৷ না হলে আমরা আমাদের মতো করে ব্যবস্থা নেব৷ আন্দোলন কিভাবে করতে হয় আর দাবি কিভাবে আদায় করতে হয় সেটা সাংবাদিক সমাজ জানে৷
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার কাছে অবাক লাগে যে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ আমার উপস্থিতিতে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে কল দেন৷ কিন্তু এরপরেও তার কানে পানি যায়নি৷ কাজটি তিনি ঠিক করেননি৷ আপনি যদি অল্প সময়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করেন তাহলে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা হয় নাকি ব্যবসা হয় সেটি সবার সামনে তুলে ধরা হবে৷ তখন কিন্তু আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে৷ মুখ দেখাতে পারবেন না।