নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সোশিও ক্যাম্প’ ওয়ার্কশপ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৭ PM , আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৭ PM

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট ‘পাঠাও প্রেজেন্টস ‘সোশিও ক্যাম্প’ সিজন এগারো পাওয়ার্ড বাই লিরা ইমপোর্টস এর’ ১ম ওয়ার্কশপ। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ওয়ার্কশপটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিখো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইশমাম চৌধুরী, মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিদ রাজ্জাক, ক্লাবটির ফ্যাকাল্টি এডভাইজর মেসবাহ উল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
সকল প্রতিযোগীদের সরব উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় উক্ত আয়োজনের প্রথম রাউন্ড ওয়ার্কশপ। সেখানে প্রেজেন্টেশন হ্যাকস নিয়ে আলোচনা করেন ইশমাম চৌধুরী এবং কেইস সল্ভিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে উপযোগী আলোচনা করেন সামিদ রাজ্জাক।
ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট মো. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই আমাদের দেশের সামনের দিনের পথচলাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে। তাদের জন্য ‘সোশিও ক্যাম্প’ হচ্ছে একটি ঘুম ভাঙ্গানি গানের মতো। আমাদের সমাজে নানাবিধ সমস্যা বিদ্যমান। সেগুলো সমাধানে দেশের তরুণদেরই জাগ্রত হতে হবে। আমাদের বিশ্বাস সোশিও ক্যাম্প এর সকল প্রতিযোগী এখান থেকে একটি ভিন্ন সত্তা নিয়ে ফিরবে।’
ক্লাবটির ফ্যাকাল্টি এডভাইজর মেসবাহ উল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রোগ্রামটি একটু ভিন্ন রকমের। এখানে সকলের মেধা, সৃজনশীলতার প্রয়োগ ঘটছে সামাজিক নানাবিধ বৈষম্য ও সমস্যা সমাধানে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় এধরণের প্রোগ্রাম কে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। আমি আশা রাখছি আজকের ১ম ওয়ার্কশপ সহ আগামী সকল রাউন্ডে সবচেয়ে যোগ্য দলগুলোই এগিয়ে যাবে এবং কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে।’
‘সোশিও ক্যাম্প’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিয়তই নানা ধরণের সমস্যা বিদ্যমান। সেসকল সামাজিক সমস্যা সমাধানে সকলের অনাগ্রহ চোখে পরার মতোই। সমস্যা কে সমস্যার স্তরে না রেখে তা সমাধানে যেন আমাদের তরুণ প্রজন্ম আগ্রহী হয় সেই লক্ষ্যেই ‘সোশিও ক্যাম্প’ এর পথচলা। একে একে ১০টি আসর শেষে এবার ১১তম আসরে পদার্পন করেছে এই অনন্য প্রতিযোগিতাটি। যেখানে সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃজনশীল ছাত্রছাত্রীরা নতুন নতুন আইডিয়া, পদ্ধতি, বা উপায় উদ্ভাবনের নেশায় মত্ত হবে পুরোটা সময় জুড়ে।