ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না ১১ বিশ্ববিদ্যালয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪০ AM , আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৭ PM
সরকারের নির্ধারিত শর্ত না মানায় দেশের ১১টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চূড়ান্ত নোটিশও দিয়েছে সংস্থাটি। সেই সাথে বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শর্ত পূরণ করতে হবে পুনরায় পাঠদান শুরু করতে। অন্যথায় ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩১ অক্টোবর ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ বাস্তবায়নে সময় বেঁধে দিয়েছে ফার্মেসি শিক্ষার এ তদারক সংস্থা। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন পাবে বলে জানিয়েছে তারা। কাউন্সিলের নোটিশে দেওয়া শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষক সংকট কাটানো, পাঁচটি ল্যাবরেটরি স্থাপন, প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি তৈরি ইত্যাদি।
এ নিয়ে বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল হক জানিয়েছেন, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা কর্ণপাত করেনি।
উচ্চশিক্ষালয়গুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে চলতি মাসে সিদ্ধান্তটি নিয়েছে কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, নির্দেশ অমান্যকারী কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনার্স কোর্সে (বি. ফার্ম) শিক্ষার্থী ভর্তি করলে সেসব শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন দেবে না কাউন্সিল। শিক্ষার্থী পাস করার পর পেশাগত সনদ দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।
দেশের ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে ফার্মেসি কাউন্সিল। সংস্থাটির প্রতিনিধিরা ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে ল্যাব সংকট, যন্ত্রপাতি অকেজো, শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সংকটসহ নানা কারণে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্রেডিটেশন নবায়ন স্থগিত করেছে। তাদের শিক্ষার মান উন্নয়নে কিছু সুপারিশ ও নির্দেশনা দিয়েছে। দু’তিন মাসের মধ্যে নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখতে হবে।
১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চারটি সরকারি ও ৭টি বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জ (বশেমুরবিপ্রবি) এবং পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, বরেন্দ্র ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি।