নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণা
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণা  © টিডিসি ফটো

নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের প্রথম বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। এই ক্যাম্পাসে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ রোববার থেকে সৌন্দর্যের মাত্রাটা আরো বেড়েছে নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। নবীন শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে প্রাণের আরেক মাত্রা যোগ হয়েছে এ ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাসের চারদিকে নবীনদের আগমণে আনন্দের ঢেউ যেন দোলা দিচ্ছে ক্যাম্পাসের প্রতিটা চত্বরে চত্বরে। তাদের পদচারণায় প্রাণের উচ্ছ্বাস বইছে বাতাসে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনে তাদের চোখে-মুখে ছিল অন্যরকম আবেগ।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, নবীন ছাত্রছাত্রীরা সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে। অনেক নবীনের সঙ্গে আবার তাদের অভিভাবকদেরও দেখা গেছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের প্রবীণরাও এসেছেন সাজগোজ করে নানা আয়োজনে নবীনদের বরণ করে নিতে। প্রবীণ ছাত্রীদের কেউ কেউ শাড়ি পরে ও ছেলেরা এসেছে পাঞ্জাবি অথবা শার্ট-কোর্ট-টাই পরে। 

শিক্ষকরা নবীনদের রজনীগন্ধা ফুল উপহার দেওয়ার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন। এ সময় শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতিমূলক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলার জন্য নবীনদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রবীণরাও নবীনদের সঙ্গে পরিচিত হয়।

আরো পড়ুন: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ নেই এক বছর

ইংরেজি বিভাগের সামার-২৩ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তাসবিহা তাবাসসুম নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমি ইতোমধ্যে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি ক্লাস সম্পন্ন করেছি। এর মধ্য দিয়ে আমি বুঝতে পেরেছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কতটা দক্ষ, আন্তরিক ও সহযোগিতার মনোভাব রাখে। আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আসতে পেরে আজকে আমরা খুবই আনন্দিত। উন্নত প্রযুক্তির কম্পিউটার ল্যাব, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরিসহ উন্নত ব্যবস্থাপনা দেখে আমরা নিয়মিত মুগ্ধ হচ্ছি। 

আরেক নবীন শিক্ষার্থী মাহবুব রনি বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস ছোট হলেও দেখতে অনেক সুন্দর যা আমার মন কেড়েছে। ক্যাম্পাসের সবকিছু গোছালো। আকাশছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে নতুন ক্যাম্পাসে নতুন জীবনের শুরু, সত্যিই এক অন্যরকম অনুভূতি! আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো অংশেই কম না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এসে খুবই ভালো লাগছে। 


সর্বশেষ সংবাদ