জাতীয় স্কুল মিল নীতির খসড়া চূড়ান্ত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০০ AM , আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০০ AM
দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের অংশ হিসেবে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ চূড়ান্ত করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত এক জাতীয় কর্মশালায় এই নীতি চূড়ান্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ সফল বাস্তবায়নের জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেককে নৈতিক অবস্থান থেকে আরও দৃঢ় হতে হবে। বাংলাদেশের উদাহরণ আজ সারাবিশ্বের কাছে সমাদৃত। মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সব থাকলেও মানসিকতার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশ সব সম্ভবের দেশ।’
দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। কর্মশালায় নতুন নতুন প্রকল্প তৈরির দিকে জোর দিতে বলেন তিনি। স্কুল ফিডিংয়ের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘পুষ্টিকর খাদ্য দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আট হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় অর্থায়নের সুযোগ রয়েছে। শিশুদের পেছনে এক ডলার বিনিয়োগ করলে আঠারো ডলার ফেরত পাওয়া যায়। স্কুল ফিডিংয়ের মাধ্যমে অপুষ্টির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ‘শান্তিচুক্তির পরে পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে। শিশুদের জন্য বিনিয়োগে কোনও ক্ষতি নেই। এই বিনিয়োগে জাতি, ধর্ম, বর্ণ কোনও কিছুই থাকা উচিত নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রয়োজনে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সময় দিয়ে হলেও সংশোধন করে দিতে হবে।’
কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে সারাবিশ্বে ৩৭০ কোটি শিশুর মধ্যে মাত্র ১৮ কোটি শিশুকে স্কুল মিল দেওয়া হয়। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রায় পৌনে দুই কোটি শিশুর মধ্যে প্রায় ৩২ লাখ শিশুকে স্কুল ফিডিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে ছয় হাজার কোটি টাকার বিস্কুটের বাজার রয়েছে। একইসঙ্গে অর্ধ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছেন—যারা ডিম, মুরগি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। স্কুল মিল নীতি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে শিশুদের বিকাশ স্বাভাবিক হবে এবং শিক্ষার মান নিশ্চিত করা সহজ হবে বলে বক্তারা অভিমত দেন।
দিনব্যাপী এই কর্মশলায় শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রিচার্ড রাগান উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।