দাম না কমলে পেঁয়াজের ব্যবহার বর্জন করুন: শিল্প প্রতিমন্ত্রী

দাম না কমলে পেঁয়াজের ব্যবহার বর্জন করতে পরামর্শ দিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। শনিবার দুপুরে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে (বালিকা) দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনুদানের চেক এবং দুস্থ ও দরিদ্র নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন তিনি ।

স্বাধীনতাবিরোধী ও দুর্নীতিবাজরাই পেঁয়াজের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী ও সমাজের এক শ্রেণীর মুনাফাখোর পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দেশে মাঝে মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। পেঁয়াজের বেলায়ও সিন্ডিকেটটি এভাবে করেছে। তাই তাদেরকে শিক্ষা দিতে আপনারা যারা মসলা হিসেবে পেঁয়াজ কিনছেন, দাম না কমলে পেঁয়াজ কেনা বাদ দেবেন।’

বাজার যারা অস্থিতিশীল করে তাদেরকে মানুষরূপী কসাই উল্লেখ করে কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘যারা মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, তাদের মানুষ বলা যায় না। তারা মানুষরূপী কসাই। তারা বাজার অস্থিতিশীল করে তোলে। তারা মৃত্যুকে ভয় করে না, ধর্মকে ভয় করে না।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ প্লেনে করে আসছে, তারপরও দাম কমেনি। সরকার পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৪৫ টাকা দরে। এই পেঁয়াজ কিনতে বিশাল লাইন দেখলাম। সরকার যে পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি করছে, তা কিনে আবার দোকানদারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলো প্রতিহত করতে হবে। তাই আপনারা যারা পেঁয়াজ কিনছেন, দাম না কমলে তারা বর্জন করবেন।’

পেঁয়াজের পর দেশে হঠাৎ লবণের দাম বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পর্যাপ্ত মযুদ থাকার পরও হঠাৎ করে লবণের সংকট‌ দেখা দিল। এটা আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি জনগণকে আশ্বস্ত করেছি। ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন লবণ এখনও আমাদের কাছে মজুদ রয়েছে। কাজেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফা লাভের চেষ্টা করা হচ্ছে। গুজবে কান দেবেন না।’

এ সময় তিনি দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অনুদানের বিষয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি বিত্তবানদের সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান। কামাল মজুমদার বলেন, ‘যারা গরিব-অসহায়, অর্থের জন্য লেখাপড়া করতে পারে না, সমাজের বিত্তবানরা তাদের সহযোগিতা দিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেবেন। বাংলাদেশের যেন শতভাগ ছেলেমেয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পায়। বিত্তবানদের সে ব্যবস্থা করতে আহ্বান করছি।’

অনুষ্ঠানে তিন হাজার টাকা করে একশ’ ছেলেমেয়েদের মধ্যে বৃত্তিপ্রদান ও ৩০ জন নারীকে সেলাই মেশিন দেয়া হয়।

মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন।


সর্বশেষ সংবাদ