জি কে শামীমের সম্পদের তালিকা ৫ দিনেও করা যায়নি

সাবেক যুবলীগ নেতা ‘টেন্ডার মাফিয়া’ খ্যাত গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটকের পর তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়। এই মামলার তদন্তে নেমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় সিআইডি।

গত ১৫ অক্টোবর জি কে শামীমের সম্পদের তথ্য সিআইডির কাছে পাঠিয়েছে ১২টি সংস্থা। তার সম্পদের ব্যাপ্তি এতটাই যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দুই হাজার ডকুমেন্ট পাঠাতে হয়েছে সিআইডিতে। সিআইডি রাত-দিন কাজ করে চলেছে এই টেন্ডার মাফিয়ার সম্পদের হিসাব জানতে। তবে শনিবার পর্যন্ত পাঁচ দিনেও সব ডকুমেন্ট পড়ে তার সম্পদের তালিকা করা সম্ভব হয়নি।

সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মানি লন্ডারিং মামলাগুলোর তদন্তে অনেক গভীরে যেতে হয়। এ জন্য সময় লাগে। তাছাড়া গ্রেফতারকৃতের দেওয়া তথ্য ও সিআইডির পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। গরমিল কোথায় কোথায় সেগুলো খুঁজে বের করা হবে।’

গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে জি কে শামীমের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব। তার অফিস থেকে বিপুল অর্থ ও মদসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ টাকা রাখার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করে র‌্যাব।

গত ২১ সেপ্টেম্বরে অস্ত্র ও মাদক মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। দুই মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার।

এছাড়া শামীমের সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। এর পর গত ২ অক্টোবর বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে আবারো রিমান্ড চাওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় মোট ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট মোহাম্মদ জ‌সিম।


সর্বশেষ সংবাদ