ডাকসু ভবনে ভিপি নূরের ওপর হামলার ৬ বছরেও নেই দৃশ্যমান ব্যবস্থা, ক্ষোভ সাদিক-ফরহাদদের

৬ বছর আগে ২০১৯ সালের এই দিনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শতাধিক নেতাকর্মীর নুরদের ওপর হামলা
৬ বছর আগে ২০১৯ সালের এই দিনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শতাধিক নেতাকর্মীর নুরদের ওপর হামলা  © ফাইল ছবি

৬ বছর আগে ২০১৯ সালের এই দিনে (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে তৎকালীন ভিপি (সহ-সভাপতি) নুরুল হক নুরের কক্ষে ও ভবনের সামনে এই বর্বর হামলা চালানো হয়। এতে তিনিসহ আহত হয়েছিলেন তার অন্তত ১৫ কর্মী। এই হামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ব্যানারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নিয়েছিল।

এ হামলার আজ সোমবার ৬ বছর পূর্ণ হলো। দীর্ঘ ৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও এই হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান ও কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ এই দীর্ঘসূত্রতা ও প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার জন্য ডাকসু গভীর নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে ডাকসুর বর্তমান নেতারা।

ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় তৎকালীন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হন। হামলার প্রায় ৪৫ মিনিট পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে আসেন। এই ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে এক ভয়াবহ ও কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

‘‘এই হামলা তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও নীরব সমর্থন ছাড়া সম্ভব ছিল না। হামলার পরও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া, তদন্ত প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করা এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা তৎকালীন প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও পক্ষপাতিত্বেরই প্রমাণ। তাই এই হামলার দায় এড়াতে পারে না তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ডাকসু এই ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এই গুরুতর ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। ডাকসু এই বিষয়ে বর্তমান প্রশাসনের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে ২২ ডিসেম্বরের হামলার সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চরমভাবে হুমকির মুখে পড়বে, এ দায় কোনো প্রশাসনই এড়াতে পারে না।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!